PM Modi virtual meet: ‘করোনায় দ্বিতীয় ঢেউকে আটকাতে হবে’, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে মোদি
'কিছু রাজ্যে ভ্যাকসিন অপচয় হচ্ছে, এর জন্য কিছু মানুষ ভ্যাকসিন পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
নয়াদিল্লি: ‘এখনই পদক্ষেপ না নিলে আরও বাড়বে সংক্রমণ। করোনায় দ্বিতীয় ঢেউকে আটকাতে হবে।’ এমনই সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
দেশে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে আজ রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, দেশের করোনা পরিস্থিতি এবং করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
এদিন বৈঠকে মোদি বলেন, ‘মহারাষ্ট্র, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী করোনা নিয়ে চিন্তিত। মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। কিছু সেফ জোনে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। কিছু জায়গায় ১৫০ শতাংশ বেড়েছে করোনা সংক্রমণ।
সবাইকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘এখনই পদক্ষেপ না নিলে আরও বাড়বে সংক্রমণ। করোনায় দ্বিতীয় ঢেউকে আটকাতে হবে। এর জন্য ঠিক কী কী করণীয় তাও বলে দেন মোদি।
প্রধানমন্ত্রীর মতে--
- ‘মাস্ক নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে আরও সতর্ক হতে হবে।
- আত্মবিশ্বাস যেন অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস না হয়।
- প্রয়োজনে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করতে হবে।
- সংক্রমিতদের যত দ্রুত সম্ভব খুঁজে বার করতে হবে।
- কিছু রাজ্যে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে বেশি জোর দিতে হবে।
- সব রাজ্যে আরটিপিসিআর পরীক্ষা জরুরি।
তিনি বলেন, একদিনে ৩০ লক্ষ মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। কিছু রাজ্যে ভ্যাকসিন অপচয় হচ্ছে। অপচয়ের জন্য কিছু মানুষ ভ্যাকসিন পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’
প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন, ‘আরটিপিসিআর পরীক্ষা আরও বাড়াতে হবে, নতুন সংক্রমণ রুখতে হবে। সরকারি, বেসরকারি ভ্যাকসিন কেন্দ্র বাড়াতে হবে।’
গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই দৈনিক করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, মৃত্যুর সংখ্যাও ঊর্ধ্বমুখী।
এই পরিস্থিতিতে দেশে করোনায় দৈনিক মৃত্যু বাড়লেও, কমল সংক্রমণ। সেইসঙ্গে বেড়েছে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যাও।
রাজ্যে ৩ জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। দৈনিক মৃত্যুতে দেশে প্রথম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। ওই রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮৫৬ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১৪ লক্ষ ৯ হাজার ৮৩১। এরই মধ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ১০ লক্ষ ২৭ হাজার ৫৪৩ জন।