HP Night Curfew: হিমাচলের ৪ জেলায় নাইট কার্ফু, করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে তবেই প্রবেশ
কোনও হিমাচলবাসী যদি করোনার আরটিপিসিআর টেস্ট ছাড়া রাজ্যে প্রবেশ করেন, তাহলে তাঁকে নিজের বাড়িতে ১৪ দিনের আইসোলেশনে থাকতে হবে।
ধর্মশালা: দিল্লির পথে হেঁটে এবার লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিল হিমাচলপ্রদেশ সরকার। করোনার সংক্রমণের বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে রবিবার থেকে নাইট কার্ফু জারি করা হচ্ছে হিমাচলের চারটি জেলায়। জানানো হয়েছে, আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত নাইট কার্ফু লাগু থাকবে। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক হয়। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোন কোন জেলায় নাইট কার্ফু? সরকারি সূত্রে খবর, কাঙ্গরা, উনা, সোলান এবং শিমুর এই চার জেলায় আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে ১০ মে নাইট কার্ফু থাকবে। প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত গতিবিধিতে বিধিনিষেধ থাকবে। সেই সময় জরুরি কাজ না থাকলে বাড়ি থেকে বেরনো যাবে না। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তরা অবশ্য ছাড় পাবেন। তবে তাঁদের বাইরে বেরলে দেখাতে হবে উপযুক্ত পরিচয়পত্র। পাশাপাশি সরকারি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এবার থেকে যে সমস্ত পর্যটক হিমাচল ভ্রমণে যাবেন, তাঁদের সঙ্গে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা করোনা টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট থাকা বাধ্যতামূলক। নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া কাউকেই রাজ্যে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে হিমাচল সরকার।
নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কোনও হিমাচলবাসী যদি করোনার আরটিপিসিআর টেস্ট ছাড়া রাজ্যে প্রবেশ করেন, তাহলে তাঁকে নিজের বাড়িতে ১৪ দিনের আইসোলেশনে থাকতে হবে। অর্থাৎ, যদি হিমাচলেরই কেউ ভিন রাজ্য থেকে ঘুরে আসেন, তবে তাঁকে নিজের বাড়িতে দু সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এ ব্যাপারে কঠোর হওয়ার কথাও জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফের কথা মাথায় রেখে আজই আরও ১ সপ্তাহ লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়েছে কেজরীবাল সরকার। রাজধানীতে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। রবিবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করে জানান, আগামী ৩ মে ভোর ৫ পর্যন্ত দিল্লিতে লকডাউন জারি থাকবে। পশ্চিমবঙ্গেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় সংক্রমিত ও মৃতের সংখ্যা।