Corona Update: করোনা আবহেই পুরভোট, গঙ্গাসাগর মেলা! আয়োজন কি আদৌ যুক্তিযুক্ত? কী বললেন বিদ্বজ্জনেরা
বাংলায় ২২ জানুয়ারিই হচ্ছে চার পুরসভার ভোটগ্রহণ। তার আগে ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা!মনোনয়ন থেকে প্রচার, পুরভোটের ঢাকে কাঠি পড়তেই দেখা গিয়েছে বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছে এই ছবি!
সঞ্চয়ন মিত্র, ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: চরম করোনা উদ্বেগের মধ্যেও রাজ্যে (West Bengal) রয়েছে পুরভোট (Kolkata Municipality Vote)। রয়েছে গঙ্গাসাগর মেলাও (Gangasagar Mela)। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এগুলির আয়োজন করা কি আদৌ যুক্তিযুক্ত? কী বললেন বিদ্বজ্জনেরা?
বাংলায় ২২ জানুয়ারিই হচ্ছে চার পুরসভার ভোটগ্রহণ (Municipality Vote)। তার আগে ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা!মনোনয়ন থেকে প্রচার, পুরভোটের ঢাকে কাঠি পড়তেই দেখা গিয়েছে বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছে এই ছবি!
অন্যদিকে, গত বছর করোনা আবহে গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন সেভাবে না হওয়ায়, মনে করা হচ্ছে এবছর আরও ভিড় বাড়বে। কিন্তু করোনার তৃতীয় ঢেউ যখন আছড়ে পড়েছে, রাজ্যে এক সপ্তাহের মধ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা যখন কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে,
তখন এই ধরনের মেলা বা ভোটের আয়োজন করা কি আদৌ যুক্তিযুক্ত? এতে কি আরও গতি পাবে না মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ? বারবার উঠছে এই প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরাও সতর্ক করছেন। এবার এ নিয়ে একই আর্জি জানালেন বিদ্বজ্জনেরাও।
সঙ্গীতশিল্পী রূপম ইসলাম
আমরা বলছি না, চিকিত্সকরাও বলছেন, এখন কোনও জমায়েত করা উচিত নয়। তাই যে কোনও মেলা হোক, ধর্মীয় বা যা কিছু বন্ধ করে দেওয়া উচিত। ভোট বন্ধ করে দেওয়া উচিত। অনেক বড় বড় অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটা ঠিক সিদ্ধান্ত। মেলা ও ভোট বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
অভিনেত্রী তনিমা সেন
যেন খেলা ভাঙার খেলা শুরু হয়েছে। সবাই মিলে যেন পাগলের মতো করছে। গঙ্গাসাগরে না গেলে যেন আর পুণ্য হবে না। ভোট নিয়েও একই কথা
করোনার এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির জন্য ভোট কিছুদিন পিছিয়ে দেওয়া হলে, ক্ষতি কী? এই প্রশ্নও তুলছেন অনেকে!
শিক্ষাবিদ সুকান্ত চৌধুরী
রাজনীতি তো মানুষের জন্য। মানুষই যদি তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে তো তার কোনও মূল্য নেই। ভোট করতে হবে, এক্ষেত্রে নতুন ভাবনা চিন্তা করতে হবে।
অভিনেতা অম্বরীশ মুখোপাধ্যায়
ভোট এখন হওয়াই উচিত নয়। যদি হয়, তাহলে অনলাইন করে দাও। বাচ্চারা অনলাইন পড়াশোনা করছে। তাহলে ভোটও অনলাইন করে দাও। দুটি ভ্যাকসিন হয়ে গেছে বলে বেরিয়ে পড়লাম, এটা করা উচিত নয়।
করোনার হাত থেকে বাঁচতে গেলে...একমাত্র পথ সাবধানতা অবলম্বন! পইপই করে মনে করিয়ে দিচ্ছেন বিশিষ্টরাও।
সঙ্গীতশিল্পী অনুপম রায়
সবাইকে বলব সাবধানে থাকবেন। সাধুদের বলব করোনা বিভি মানতে। রাজনৈতিক দলগুলিকেও বলব যাতে ভিড় এড়িয়ে যায়।
অভিনেতা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
মানুষের বোঝা উচিত কোথায় থামতে হবে। সবই সরকার বলে দেবে বা করে দেবে না
ট্যুইট করে সতর্ক করেছেন করোনা আক্রান্ত অভিনেতা দেবও। তিনি লিখেছেন, একটা বিষয় নিশ্চিত, আমরা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে রয়েছি। এই পরিস্থিতিতে সিনেমা, র্যালি, মেলা, বড় জমায়েত সবকিছুই অপেক্ষা করতে পারে।