Omicron : "আতঙ্কিত হতে হবে না, কিন্তু সজাগ থাকুন", ওমিক্রন আবহে বার্তা এইমস প্রধানের
AIIMS Chief : "এই মুহূর্তে বহু সংখ্যক মানুষের টিকাকরণ হয়ে গেছে। তা সত্ত্বেও আমরা সংক্রমণের বৃদ্ধি দেখছি। তাই, আমাদের কোভিড-বিধি মেনে চলতে হবে।" বলেন ডক্টর গুলেরিয়া
নয়া দিল্লি : দেশে দিন দিন বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। এই মুহূর্তে দেশে নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ৯৬১ জন। তবে এনিয়ে "আতঙ্কিত হতে হবে না, কিন্তু সজাগ থাকুন", বলে পরামর্শ দিলেন এইমসের অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া।
দিল্লির এইমসের তরফে একটি ভিডিও বার্তা দেওয়া হয়েছে। তাতে ডক্টর গুলেরিয়া বলেছেন, সকলকে ২০২২ এর আগাম শুভেচ্ছা। আমাদের বুঝতে হবে যে, অতিমারী এখনও শেষ হয়ে যায়নি। তবে, আমরা আগের থেকে ভাল অবস্থায় আছি।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বহু সংখ্যক মানুষের টিকাকরণ হয়ে গেছে। তা সত্ত্বেও আমরা সংক্রমণের বৃদ্ধি দেখছি। তাই, আমাদের কোভিড-বিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক পরতে হবে, শারীরিক দূরত্ব মানতে হবে এবং ভিড় এড়িয়ে যেতে হবে।
ওমিক্রন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক নথি দেখাচ্ছে যে, এটি মৃদু ভ্যারিয়েন্ট। যার জেরে মারাত্মক হারে অক্সিজেনের মাত্রা কমছে না। কাজেই, অক্সিজেনের সেঅর্থে প্রয়োজন নেই। তবে, অপ্রয়োজনে অক্সিজেন সিলিন্ডার বা ওষুধ নষ্ট করবেন না।
আরও পড়ুন ; ওমিক্রনের বিরুদ্ধে এখনও কার্যকর ভ্যাকসিন, বলছেন WHO-এর প্রধান বিজ্ঞানী
এদিকে WHO-এর প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন মন্তব্য করেছেন, যাঁরা টিকা নিয়েছেন বা নেননি- সব ধরনের মানুষই আক্রান্ত হচ্ছেন ওমিক্রন(omicron) ভ্যারিয়েন্টে(variant)। কিন্তু, ভ্যাকিসন এখনও পর্যন্ত কার্যকর বলেই মনে হচ্ছে। কারণ, বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ বাড়লেও, এর তীব্রতা খুব একটা বৃদ্ধি পায়নি।
যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসের দুই প্রজাতি ওমিক্রন ও ডেল্টার 'সুনামির' জেরে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে চলেছে। কিছুদিন আগেই হু সতর্ক করেছিল, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট অত্যন্ত ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে। যা বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে অত্যন্ত গুরুতরভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
সংবাদসংস্থা এএফপি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানকে উদ্ধৃত করে বলেছে, "আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন যে ওমিক্রন আরও সংক্রমণযোগ্য হয়ে উঠছে। ডেল্টার যেরকম বৃদ্ধি হয়েছিল তেমনই এক সুনামির দিকে এগিয়ে চলেছি। এর ফলে স্বাস্থ্যকর্মীরা ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। ভেঙে পড়ছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, বাড়ছে চাপ। করোনার দুই প্রজাতির জন্য বিশ্বব্যাপী মৃত্যুও বেড়েছে অনেকটাই।