Indian Army: অত্যাধুনিক অস্ত্রসম্ভার থেকে দুরন্ত সুরক্ষা, অর্জুন মার্ক-১এ এখন বিশ্বমানের যুদ্ধট্যাঙ্ক
সেনাপ্রধানের হাতে অর্জুন মার্ক-১এ যুদ্ধট্যাঙ্ক তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
চেন্নাই: তেজস যুদ্ধবিমানের পর 'আত্মনির্ভর ভারত'-এর অন্তর্গত দেশে তৈরি অর্জুন যুদ্ধ ট্যাঙ্ক হাতে পেল সেনা। এদিন চেন্নাইয়ে একটি অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান এমএম নারাভানের হাতে অর্জুন 'মেন ব্যাটল ট্যাঙ্ক (মার্ক-১এ)' তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এটি হল এই ট্যাঙ্কের আধুনিক সংস্করণ।
এদিন তামিলনাড়ু ও কেরলে একাধিক কর্মসূচি ও প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। অর্জুন 'মেন ব্যাটল ট্যাঙ্ক (মার্ক-১এ)' তৈরি করেছে দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও। এটি মূলত ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই যুদ্ধট্যাঙ্কটি আদতে একটি আর্মার্ড ভেহিকল।
অর্জুন মেন ব্যাটল ট্যাঙ্কের খুঁটিনাটি---
অর্জুন 'মেন ব্যাটল ট্যাঙ্ক মার্ক-১এ' হল সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন। এই ট্যাঙ্ক যাবতীয় অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত। আগের সংস্করণের তুলনায় এই ট্যাঙ্কে রয়েছে অধিক অস্ত্রবহনের ক্ষমতা, দ্রুতগতি, দুরন্ত সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য। এত কিছু সত্ত্বেও, এই ট্যাঙ্কের সওয়ারিদের স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়েছে। আগের সংস্করণের তুলনায় এই ট্যাঙ্কে ১৪টি আপগ্রেড করা হয়েছে।
এই ট্যাঙ্ক তৈরি করেছে ডিআরডিও-র আওতাধীন কমব্য়াট ভেহিকলস রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট এসটাবলিশমেন্ট। এটি আর্মামেন্ট অ্যান্ড কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং সিস্টেমস প্রযুক্তির ক্লাস্টারের অন্তর্গত।
ডিআরডিও জানিয়েছে, এই ট্যাঙ্কে আধুনিক যুদ্ধ সম্পর্কিত যাবতীয় প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অন্যান্য মেন ব্যাটল ট্যাঙ্কের তুলনায় অর্জুন অনেকটাই আলাদা। ডিআরডিও-র দাবি, এটি হল অত্যন্ত যুদ্ধের অত্যন্ত ভরসাযোগ্য় মেশিন।
ডিআরডিও চেয়ারপার্সন তথা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সচিব সতীশ রেড্ডি বলেন, অর্জুন মার্ক-১এ হল সর্বাধুনিক যুদ্ধট্যাঙ্ক, যাতে অতিরিক্ত ৭১টি বৈশিষ্ট যোগ করা হয়েছে।
গবেষণার অতিরিক্ত অধিকর্তা ভি বালাগুরু বলেন, এই ট্যাঙ্কে মোট ৭১টি আপগ্রেডেশন করা হয়েছে। এখন এটি বিশ্বমানের ট্যাঙ্কে পরিণত। এর ফলে, ভারতীয় সেনার প্রভূত উপকার হবে।
ডিআরডিও জানিয়েছে, মোট ১১৮টি ট্যাঙ্কের বরাত দেওয়া হয়েছে। যার মূল্য ৮৫০০ কোটি টাকা। ২০০টি অনুসারী শিল্প একযোগে এই উৎপাদনের কাজে যুক্ত। এই ট্যাঙ্কের কাজে নিযুক্ত প্রায় ৮ হাজার কর্মী। ফলে, প্রতিরক্ষা শিল্প ও দেশের অর্থনীতির উন্নতি হবে।