(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Supreme Court: বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধের আওতায় আনা যায় কি! কেন্দ্রের মতামত জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট
Central government: বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধের আওতায় আনতে প্রায় এক দশক ধরে আইনি টানাপোড়েন চলছে।
নয়াদিল্লি: বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধের আওতায় আনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের মতামত জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ ঘোষণা করা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই আইনি লড়াই চলছে। কিন্তু সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court) এই নিয়ে রায় দিলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি। তার পর মামলা শীর্ষ আদালতে গিয়ে পৌঁছয়। তাতেই এ বার কেন্দ্রের মতামত জানতে চাইল শীর্ষ আদালত (Central government)।
বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ ঘোষণা করতে কেন্দ্রের মতামত চাইল আদালত
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অজয় রাস্তোগী এবং বিভি নাগরত্নর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুাননি চলছিল। তাঁরাই কেন্দ্রকে নোটিস ধরিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার নিজের মতা মতা জানালে, ২০২৩-এৎ ফেব্রুয়ারি মাসে মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
এর আগে, গত ১১ মে দিল্লি হাইকোর্টে আড়াআড়ি বিভক্ত রায় শোনায়। এক বিচারপতি সম্মতি ছাড়া স্ত্রীর সঙ্গে জবরদস্তি শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে স্বামীকে অপরাধী গন্য করার পক্ষে মত দেন এক বিচারপতি। কোনও ভাবেই যাতে স্বামী আইনি সুরক্ষা না পান, তার সপক্ষে সওয়াল করেন। কিন্তু আইনি সুরক্ষা তুলে দেওয়ার বিষয়টিকে অসংবিধানিক বলে মন্তব্য় করেন অন্য জন। তার পরই মামলা সুপ্রিম কোর্টের গিয়ে পৌঁছয়। তারাই এ বার কেন্দ্রের মতামত চাইল।
আরও পড়ুন: বায়ুসেনার কপ্টারে গ্বালিয়র এসে পৌঁছল ৮ চিতা, খাঁচা খুলে অরণ্যে ছাড়বেন খোদ মোদি
বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধের আওতায় আনতে প্রায় এক দশক ধরে আইনি টানাপোড়েন চলছে। ২০১৫ সালে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। ধর্ষণ আইন থেকে বিবাহকে কেন বাদ রাখা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। সেই সময়ও কেন্দ্রীয় সরকার এবং দিল্লি সরকারের মত জানতে চায় আদালত।
২০১৬ সালে সেই বাবদ হলফনামা জমা করে কেন্দ্র জানায়, বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধের আওতায় ফেলা যাবে না। এতে ভারতীয় সমাজজীবন প্রভাবিত হবে। এর পর ২০১৭ সালে অল ইন্ডিয়া ডেমোক্র্যাটিক উইমেনস অ্য়াসোসিয়েশন এবং বৈবাহিক ধর্ষণের শিকার এক মহিলা নতুন করে আবেদন জানান। হলফনামা দিয়ে ফের তার বিরোধিতা করে কেন্দ্র। বলা হয়, বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধের আওতায় ফেলা হলে, বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠান থেকেই বিশ্বাস উঠে যাবে।
বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে দীর্ঘ আইনি টানাপোড়েন চলছে
এর পর দীর্ঘ দিন ওই মামলার শুনানি স্থগিত ছিল। ২০২১-এর ডিসেম্বরে ফের শুনানি শুরু হয়। ২০২২-এর জানুয়ারি মাসে দিল্লি হাইকোর্টে কেন্দ্র জানায়, বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধের আওতায় ফেললে, উল্টো প্রতিক্রিয়া হতে পারে। মিথ্যে অভিযোগও জমা পড়তে পারে ভূরি ভূরি। বিষয়টি নিয়ে পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে বলে ফেব্রুয়ারি মাসে ফের জানায় কেন্দ্র। এ নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে বলেও জানানো হয়। তার পরই এ বার কেন্দ্রের মতামত চাইল সুপ্রিম কোর্ট।