UP Road Accident: উত্তরপ্রদেশে সারা রাত মর্গের ফ্রিজারে, পরদিন বেঁচে উঠলেন দুর্ঘটনায় ‘মৃত’ ঘোষিত যুবক!
UP Dead Man Found Alive: চিকিৎসক জানিয়েছেন,পুলিশকে ঘটনার কথা জানানো হয় এবং দেহ মর্গের ফ্রিজারে রাখা হয়। ছয় ঘণ্টা পর শ্রীকেশ কুমারের আত্মীয়রা হাসপাতালে পৌঁছন।তখন পর্যন্ত দেহ মর্গের ফ্রিজারেই রাখা ছিল।
মোরাদাবাদ: পথ দুর্ঘটনায় জখম ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করে দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এরপর হাতপাতালের মর্গের ফ্রিজারে পুরো একটা রাত রাখার পরের দিন সকালে দেখা গেল মৃত ব্যক্তির শ্বাসপ্রশ্বাস চলছে! এমনই অত্যাশ্চর্য ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে। সারা রাত মর্গের ফ্রিজারে থাকার পরও ওই ব্যক্তিকে জীবিত দেখতে পেয়ে চমকে যান তাঁর আত্মীয়রা।
জানা গেছে, শ্রীকেশ কুমার নামে ওই ব্যক্তি মোটরসাইকেলের ধাক্কায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ জেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। বেসরকারি ওই চিকিৎসাকেন্দ্রে আনার সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর গত শুক্রবার ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর দেহ একটি সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সরকারি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার গতকাল রবিবার সংবাদমাধ্যমকে জানান যে, জরুরিকালীন বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার শ্রীকেশ কুমারকে পরীক্ষা করেন। তাঁর শরীরে জীবনের কোনও হদিশ না পাওয়ায় তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, পুলিশকে ঘটনার কথা জানানো হয় এবং দেহ মর্গের ফ্রিজারে রাখা হয়। ছয় ঘণ্টা পর শ্রীকেশ কুমারের আত্মীয়রা হাসপাতালে পৌঁছন। তখন পর্যন্ত তাঁর দেহ মর্গের ফ্রিজারেই রাখা ছিল।
তিনি জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের জন্য কাগজপত্র তৈরির জন্য পুলিশ ও শ্রীকেশ কুমারের আত্মীয়রা হাসপাতালে পৌঁছন। তখন দেখা যায় শ্রীকেশ কুমার জীবিত রয়েছেন।
সঙ্গে সঙ্গে ৪৫ বছরের শ্রীকেস কুমারকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও তিনি কোমায় আছন্ন রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
চিকিৎসক এই ঘটনাকে অত্যাশ্চর্য বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এটা মিরাক্যাল ছাড়া অন্য কিছু নয়।
চিকিৎসকরা কীভাবে এমন ভুল করলেন, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা এই ঘটনায় অবশ্য হাসপাতালের কর্মীদের অবহেলা ও গাফিলতিকে দায়ী করেছেন। শ্রীকেশ কুমারের এক আত্মীয় বলেছেন, জরুরিকালীন বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা করে দেখেন, কিন্তু কোনও চিকিৎসা করেননি।