Indigo Flight Crisis: কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাতিল ইন্ডিগোর ৭৬টি উড়ান ! আজও চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা
Indigo Flight Cancellation Update: ইন্ডিগো বিপর্যয়ে আজও বহু বিমান বাতিল।

নয়াদিল্লি: ইন্ডিগো বিপর্যয়ে আজও বহু বিমান বাতিল। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাতিল ইন্ডিগোর ৭৬টি উড়ান। আজও চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা, ইন্ডিগোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ। আগে থেকে জানানো হচ্ছে না, অভিযোগ যাত্রীদের। বিমানবন্দরে এসে জানতে পারছেন, দাবি অধিকাংশ যাত্রীর।
আরও পড়ুন, এবার ১ লক্ষ কণ্ঠে কোরান পাঠের ঘোষণা হুমায়ুন কবীরের
বারাসাতের বাসিন্দা দেবীপ্রসাদ মজুমদার বলেন, ভয়ঙ্কর হয়রান! শুধু তাই নয়, ব্ল্যাকমেল করছে। সিচুয়েশনটাকে এক্সপ্লয়েট করছে। এটা সরকারের দেখা উচিত। কারণ ৮০% ফ্লাইট অপারেট করে ইন্ডিগো, ডোমেস্টিকে। এইজন্য সরকারের উচিত, অল্টারনেট কিছু রিসোর্স আশেপাশে রাখা যাতে কম্পিটিটিভ হয়। যাতে এরা ব্ল্যাকমেল না করতে পারে, এক্সপ্লয়েট না করতে পারে।
কিন্তু, হঠাৎ এমন পরিস্থিতি কেন? অনেকে বলছেন, নেপথ্যে DGCA-এর Flight Duty Time Limitations.যেখানে বলা হয়েছে, পাইলটদের সপ্তাহে ৩৬ ঘণ্টার বদলে ৪৮ ঘণ্টা বিশ্রাম বাধ্যতামূলক। যত ঘণ্টা বিমান উড়িয়েছেন, তার চেয়ে বেশি সময় বিশ্রাম দিতে হবে পাইলটকে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একজন পাইলটকে ১০ ঘণ্টা বিশ্রাম দিতেই হবে।প্রতি সপ্তাহে ৬টি নয়, মাত্র ২ টি বিমান রাতে অবতরণ করাতে পারবেন একজন পাইলট। পাইলট ও বিমানকর্মীদের পর পর ২টি নাইট ডিউটি দেওয়া যাবে সপ্তাহে ১ বারই।
পাইলট ও বিমানকর্মীদের ছুটিকে সাপ্তাহিক বিশ্রামের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।এই নির্দেশিকা চালু হওয়ার কথা ছিল ২০২৪-এ। একাধিক বিমান সংস্থার অনুরোধে সেটি কার্যকর হয় এবছর পয়লা নভেম্বর থেকে।তারপরই উড়ান বিভ্রাট শুরু হয় ইন্ডিগোর। ইন্ডিগোর তরফে বৃহস্পতিবারই জানানো হয়েছে, প্রযুক্তিগত ত্রুটি, শীতকালীন সময়সূচি পরিবর্তন, প্রতিকূল আবহাওয়া, বিমান ব্যবস্থায় ক্রমবর্ধমান যানজট এবং বিমানকর্মীদের কাজের সংশোধিত সময়সূচি— এমন নানা অপ্রত্যাশিত কারণে আমাদের পরিষেবার উপর এমন নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
পরিস্থিতির জন্য বৃহস্পতিবার রাতে যাত্রীদের কাছে ক্ষমাও চায় তারা। শুক্রবার জরুরি বৈঠকে বসেন অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রামমোহন নায়ডু। পরে পুরনো নির্দেশিকায় উল্লিখিত ছুটি ও বিশ্রামের বিধি শিথিল করে DGCA.বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, যাত্রী-দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে, পাইলট বা বিমানচালকদের নেওয়া ছুটিকে সাপ্তাহিক বিশ্রামের যে নির্দিষ্ট সময়, তার অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না, বলে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
কিন্তু ঠিক কী কারণে এই বিভ্রাট, তা খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। সূত্রের খবর, ইন্ডিগোর বহু বিমান রাতে অবতরণ করে। নতুন বিধি মেনে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে যত সংখ্যক কর্মী এবং পাইলট প্রয়োজন, তা সংস্থার কাছে নেই।তাই ইন্ডিগোর মতো সংস্থায় এরকম আকার নিয়েছে সমস্যা। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, বিধি বিজ্ঞপ্তি জারির পর প্রায় দু’বছর কেটে গেলেও কেন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি সংস্থা? বছরের এই সময় যখন চাহিদা বেশি থাকে, তখন DGCA-কে চাপে রাখতে উড়ান সংস্থার পাল্টা কৌশল নয় তো? অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ এড়াতেই কি এই কৌশল?পরিস্থিতি মোকাবিলায় আসরে নেমেছে দেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক।বিধি শিথিল করেছে DGCA.






















