আফ্রিকায় সাড়ে তিনশো হাতির রহস্য মৃত্যু, কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কা!
মানুষের পর কি এবার বন্যপ্রাণের ওপরও হামলা শুরু করে দিল মারণ ভাইরাস কোভিড-১৯?
বতসওয়ানা: মানুষের পর কি এবার বন্যপ্রাণের ওপরও হামলা শুরু করে দিল মারণ ভাইরাস কোভিড-১৯? আফ্রিকার দক্ষিণ ভাগের দেশ বতসওয়ানায় সাড়ে তিনশো হাতির রহস্য মৃত্যর পর এমনই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ওকাভাংগো ব-দ্বীপ অঞ্চলে তিন শতাধিক হাতির দেহ পাওয়া গিয়েছে। ওই অঞ্চলে হাতির সংখ্যা ক্রমশ নিম্নমুখী হওয়ার কারণেই চিন্তা বাড়ে প্রশাসনের। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মে থেকে এই মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েছে। যা এখনও চলছে। মৃত হাতির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পরই হাতিদের রহস্য মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে বতসওয়ানা সরকার।
ব্রিটেনের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ন্যাশনাল পার্ক রেসকিউ মাস দুয়েক আগেই দেশের সরকারকে সতর্ক করেছিল। ওই অঞ্চল আকাশপথে পরিদর্শন করে ১৬৯টি হাতির মৃত দেহের সন্ধান করেছিল এই ব্রিটিশ সংস্থা। মে মাসের ওই পরিদর্শনের পর জুন শেষ হতে না হতেই হাতি মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছয় সাড়ে তিনশো।
চিকিৎসক নিয়াল ম্যাককান বিরাট সংখ্যায় হাতির মৃত্যুর ঘটনায় কোভিড হানার আশঙ্কা করছেন। তাঁর কথায় “খরা ছাড়া এত হাতির মৃত্যুর ঘটনা বেনজির। শুধু হাতিরই মৃত্যু হচ্ছে। যদি চোরাশিকারিদেরই কাজ হত, তাহলে সায়ানাইড ব্যবহারের কারণে আরও অনেক পশুরও মৃত্যু হত।” গত বছরই বতসওয়ানাতে বিষ খাইয়ে একশো হাতির হত্যার ঘটনা ঘটেছিল।
তবে এক্ষেত্রে একসঙ্গে এত হাতির মৃত্যুর নেপথ্য অন্য কোনও কারণ রয়েছে বলেই আশঙ্কা চিকিৎসক নিয়াল ম্যাককানের। মাটি বা জলবাহিত রোগ থেকেও হাতির মৃত্যু হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। একই সঙ্গে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কথাও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না এই চিকিৎসক।
তবে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, রিপোর্ট আসতে অন্তত আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে।