রাশিয়ার ভিক্টরি ডে: কেন হয় এই উদযাপন? ভারতের কাছে এর গুরুত্ব কোথায়?
এই উৎসবের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির বর্ষপূর্তি পালন করা হয়ে থাকে
মস্কো: লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনার বর্বরোচিত হামলায় ২০ ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুর আবহে রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক সুদৃঢ় করতে মস্কোয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আমন্ত্রণে তিনি এদিন সেদেশের রাজধানীতে ভিক্টরি ডে উদযাপনের ৭৫ বর্ষপূর্তিতে যোগ দেন। রেড স্কোয়ারের ওই সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেয় ভারতীয় সেনা বাহিনীর তিন বিভাগ-- স্থল, নৌ ও বায়ুসেনার জওয়ানদের নিয়ে গঠিত ট্রাই-সার্ভিস কনটিনজেন্ট।
এদিন ভারতের পাশাপাশি, কুচকাওয়াজে অংশ নেয় চিনা সেনা জওয়ানরাও। দর্শকাসনে উপস্থিত ছিলেন চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীও। অনুষ্ঠান চলাকালীন রাজনাথ টুইট করে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর অংশগ্রহণের ছবি পোস্ট করেন। লেখেন, এটা আমার কাছে ভীষণই খুশি ও গর্বের মুহূর্ত।
ভিক্টরি ডে কী?Impressive turnout of the Tri-Service contingent of the Indian Armed Forces at the Victory Day Parade in Moscow is indeed an extremely proud and happy moment for me. pic.twitter.com/csEKNGKFLU
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) June 24, 2020
এই উৎসবের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির বর্ষপূর্তি পালন করা হয়ে থাকে। ১৯৪৫ সালের ৯ মে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি এবং মিত্র বাহিনীর জয় ঘোষিত হয়। ওই বছর ৩০ এপ্রিল অ্যাডল্ফ হিটলার নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হন। ৭ মে জার্মান বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। ৯ মে ভিক্টরি ডে হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। বেশিরভাগ ইউরোপীয় দেশ ৮ মে ভিক্টরি দিবস পালন করে। এবছর কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য উদযাপন পিছিয়ে ২৪ জুন করা হয়। ৯ মের উৎসবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ করেছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। কিন্তু, যদিও সেই দিবস পালিত হয়নি তখন।
ভারতের কাছে এর গুরুত্ব কোথায়?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ শাসনের অধীনে থাকা ভারতীয় বাহিনী মিত্র বাহিনীর অন্যতম বড় অংশ ছিল। উত্তর ও পূর্ব আফ্রিকায় অভিযানে ছিল ভারতীয় ফৌজ। এছাড়া, পশ্চিমী মরু অভিযান ও ইউরোপের যুদ্ধেও অংশ নিয়েছিল ব্রিটিশ ভারতীয় বাহিনী।
এবছর কুচকাওয়াজে কে অংশ নিয়েছে?
এবছর ৯০ মিনিট ধরে প্যারেড হয়। সেখানে ভারত ও চিন সহ মোট ১৯টি দেশের সামরিক বাহিনী এবার অংশগ্রহণ করেছে। প্রায় ১৪ হাজার ফৌজ এদিন রেড স্কোয়ারে অংশ নেয়।
এর আগে, ২০১৫ সালে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। এছাড়া, ২০০৫ সালে গিয়েছিলেন মনমোহন সিংহ।