Iran-Israel Conflict: ইজরায়েলের পাশে আমেরিকা, ইরানের পক্ষে কেন সরাসরি নেই রাশিয়া ? যা জানালেন পুতিন...
US Intervenes in Iran-Israel Tension: ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে এয়ার স্ট্রাইক করেছে আমেরিকা। আর এর পরেই প্রশ্ন উঠে গেছে, কোন দিকে মোড় নেবে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ পরিস্থিতি।

মস্কো : ইজরায়েলের পক্ষ নিয়ে ইতিমধ্যেই ইরানের ৩টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অপারেশন চালিয়েছে আমেরিকা। অন্যদিকে, কী ভূমিকা নেবে ইরানের বন্ধু বলে পরিচিত রাশিয়া ও চিন ? কেন সরাসরি তেহরানের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে না রাশিয়া ? এই প্রশ্নের এবার উত্তর দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বহু যুগ ধরে ভালো সম্পর্ক রয়েছে রাশিয়া ও ইরানের। তা সত্ত্বেও, ইরান ও ইজরায়েলের দ্বন্দ্বে রাশিয়া নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন পুতিন। কেন তাঁর এই সিদ্ধান্ত ? সেই ব্যাখ্যাও দিলেন। সেন্ট পিটার্সবার্গে ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামে এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে পুতিন বললেন, "আমি আপনাদের জানাতেই চাই যে পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও রাশিয়া ফেডারেশনের প্রায় ২০ লক্ষ লোক ইজরায়েলে বসবাস করেন। আজ এটা প্রায় রাশিয়াভাষী দেশে পরিণত হয়েছে। এবং নিঃসন্দেহে, রাশিয়ার সাম্প্রতিক ইতিহাসে আমরা এই বিষয়টা সবসময় দেখি।"
সঙ্গী রাষ্ট্রগুলির প্রতি রাশিয়ার কি তাহলে কোনও আনুগত্য নেই ? সমালোচকদের এমন প্রশ্নকে তিনি উস্কানিমূলক বলে অভিযোগ করেছেন। পুতিন বলেছেন, আরব দেশগুলি এবং ইসলামিক দেশগুলির সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ। তিনি জোর দেন এবিষয়েযে, রাশিয়ার জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশই মুসলিম।
ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে আমেরিকার প্রবেশ
দুই সপ্তাহ সময় নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই হুঁশিয়ারির ৭২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে আচমকা যুদ্ধে নেমে পড়েছে আমেরিকা! ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের দশম দিনে ময়দানে ত্রিশক্তি। মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে এন্ট্রি নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় শনিবার রাতে ইরানে হামলা চালায় আমেরিকার সেনাবাহিনী। ট্রাম্প নিজের সোশাল মিডিয়া truth-এ দাবি করেছেন, ইরানের তিনটি পরমাণুকেন্দ্রে ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহান-এ এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে আমেরিকা। সোশাল মিডিয়া ট্রুথে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ইরানের দুর্ভেদ্য ফোরডো পরমাণুকেন্দ্রই ছিল আমাদের মূল নিশানা। সেই পরমাণুকেন্দ্রে জোরালো হামলা চালানো হয়েছে। এটা আমাদের দ্বারাই সম্ভব।
তবে এখানেই থেমে থাকতে রাজি নয় আমেরিকা। আগামীদিনের জন্য ইরানকে হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, "আমাদের লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু-ক্ষমতাকে ধ্বংস করা। বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র যাতে পরমাণু হুমকি দিতে না পারে। এটা দেখার মতো সামরিক সাফল্য। ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিকে পুরোপুরি এবং সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। যে ইরান মধ্যপ্রাচ্যে দাদাগিরি চালায়, এবার তারা শান্তি ফেরাতে বাধ্য হবে। যদি তারা তা না করে, তাহলে ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলা আরও বেশি করে হবে এবং সেটা করা আমাদের পক্ষে সহজ হবে।"























