(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
মাত্রাতিরিক্ত মাদকেই বিষক্রিয়া? জন্মদিনে বন্ধুর বাড়িতে পার্টির পর মৃত্যু যুবকের
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে শরীরে প্রচুর পরিমাণে মাদক দ্রব্য মিলেছে। বিষক্রিয়া হয়ে মৃত্যু বলেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
কলকাতা: জন্মদিনে তরুণের রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়াল। ঘটনাস্থল গলফগ্রিন। জানা গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রামের বাসিন্দা ১৯ বছরের রিক্তেশ মোদক। জন্মদিনে গলফগ্রিনে এক বন্ধুর ফ্ল্যাটে পার্টি করতে আসেন সে। এরপরই হঠাৎই মৃত্যু হয় রিক্তেশের। যাঁর বাড়িতে এ দিন সারারাত ছিলেন যুবক সেই বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী মৃতের শরীরে প্রচুর পরিমাণে মাদক দ্রব্য মিলেছে। বিষক্রিয়া হয়ে মৃত্যু বলেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
জন্মদিনের উত্সব মুহূর্তে বদলে গেল শোকে। গলফগ্রিনে বন্ধুর ফ্ল্যাটে জন্মদিন পালন করতে এসে রহস্যমৃত্যু হল তরুণের। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তে বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর উল্লেখ রয়েছে। শরীরে মিলেছে প্রচুর মদ। গ্রেফতার গলফগ্রিনের বন্ধু। ১৯ বছরের তরুণের জন্মদিন উদযাপনের যে এই পরিণতি হবে, তা ভাবতে পারেননি কেউ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রামের বাসিন্দা ১৯ বছরের রিক্তেশ মোদকের জন্মদিন ছিল ১৬ জুলাই। পরিবার সূত্রে দাবি, তিনি জন্মদিন পালনের জন্য ১৫ জুলাই রাতেই চলে আসেন গলফগ্রিনের বাসিন্দা ওই বন্ধুর বাড়ি। সন্ধে সাড়ে ৭টার সময় খাওয়া দাওয়া করেন সবাই।
ওই বন্ধুর পরিবারের দাবি, রাতে চিকেন পরোটার পাশাপাশি সিগারেট ও গাঁজাও খেয়েছিল রিক্তেশ। এ ছাড়া শুধু সিঙাড়াও খায়। অভিযুক্তের স্ত্রীও ছিলেন তাঁদের সঙ্গে। জন্মদিন উদযাপন করতে এ দিন সকলেই ভোর সাড়ে ৩ টে পর্যন্ত জেগে ছিলেন। এর পর সকলে ঘুমিয়ে পড়েন।
১৬ জুলাই অর্থাত্ শুক্রবার জন্মদিনের সকালে দেখা যায়, রিক্তেশের মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
শনিবার ময়নাতদন্ত হয়। অটোপসি সার্জনরা জানান, শরীরে প্রচুর মাদক দ্রব্য মিলেছে। বিষক্রিয়াই মৃত্যুর কারণ। মৃতের পরিবারের তরফে অভযোগ দায়ের করা হয় গলফগ্রিন থানায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারা মামলা রুজু করেছে। গতকাল রাতেই পুলিশ গলফগ্রিনের বাসিন্দা কৌশিক মণ্ডলকে (২১) গ্রেফতার করে।
কৌশিকের স্ত্রী স্নেহা মণ্ডল জানিয়েছেন, 'সকালে বাড়িতে আসে। তারপর অসুস্থ হল, কীভাবে কী হয় বলুন তো? আমরা তো মদ খাইনি। সিগারেট, গাঁজা খেয়েছি। পুলিশের বক্তব্য, মৃতের সঙ্গে যাঁরা ছিলেন তাঁদের বয়ানের বেশ কিছু জায়গায় অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মাদকে বিষক্রিয়া নাকি অন্য কারণ, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।