Nitish Reddy: সচিন, পন্থের পর ইতিহাস নীতীশ রেড্ডির, মেলবোর্নে রাজকীয় শতরান, গ্যালারিতে চোখে জল বাবার
India vs Australia: ছেলে এমসিজিতে বক্সিং ডে টেস্টে খেলতে নেমে কেরিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক শতরান হাঁকালেন। আর তিনি গ্যালারি থেকে সেই মুহূর্ত উপভোগ করলেন।
মেলবোর্ন: ক্যামেরা বারবার ফোকাস করছিল গ্যালারিতে। সেখানে ভারতীয় সমর্থকদের সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে এক মধ্যবয়স্ক ভদ্রলোক কালো জ্যাকেট পড়ে দাঁড়িয়ে গলা ফাটাচ্ছেন। ম্য়াচ যত এগােচ্ছিল, ততই তাঁর উত্তেজনার পারদ চরছিল। আর হবে নাই বা কেন? তিনি আর কেউ নন, মেলবোর্ন টেস্টের নতুন নায়ক হিসেবে যিনি উঠে এলেন সেই নীতীশ রেড্ডির বাবা। ছেলে এমসিজিতে বক্সিং ডে টেস্টে খেলতে নেমে কেরিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক শতরান হাঁকালেন। আর তিনি গ্যালারি থেকে সেই মুহূর্ত উপভোগ করলেন। ২২ বছরের নীতিশ ইতিহাস গড়লেন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। ম্য়াচ বাঁচানো লড়াইও বলা যেতে পারে। ১০টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে দুরন্ত অপরাজিত শতরান হাঁকালেন এমসিজিতে। প্রথম ফলো অন বাঁচালেন ভারতের। পরে ম্য়াচে ফিরিয়ে আনার লড়াইটাও চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত আইপিএল দুর্দান্ত পারফর্ম করার পর আচমকাই জাতীয় দলের নির্বাচকদের নজরে চলে এসেছিলেন। গৌতম গম্ভীর চাইছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বাউন্সি ও গতিময় পিচে নীতীশকে দলে নিতে, কারণ তাঁর বলের হাতও কাজে লাগতে পারে। সিরিজের প্রথম টেস্ট থেকেই একাদশে সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু চল্লিশের ঘরে বার কয়েক আউট হতে হয়েছিল। তবে প্রথম ম্য়াচেই নিজের জাত চিনিয়েছিলেন। এবার মেলবোর্ন টেস্টে আরও একবার তাঁর সামনে সুযোগ এসেছিল বড় রান করার। এমনকী দলকেও খাদের কিনারা থেকে তোলার। দুটো কাজই নিঁখুতভাবে সামলালেন নীতীশ। ১৯১ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে দল যখন ধুঁকছিল, তখন তিনি ক্রিজে আসেন। এরপর জাডেজার সঙ্গে প্রথমে ৩০ রানের ও পরে ওয়াশিংটন সুন্দরের সঙ্গে ১২১ রানের লম্বা পার্টনারশিপ গড়ে দলকে ফলো অন থেকে বাঁচিয়ে দেন নীতীশ। ঠাণ্ডা মাথায় স্টার্ক, কামিন্সদের বিরুদ্ধে কীভাবে খেলতে হবে তা বোধহয় রাোহিত,বিরাটদেরও দেখিয়ে দিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের তরুণ অলরাউন্ডার।
নিজের শতরান হাঁকানোর পথে ১০টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান নীতীশ রেড্ডি। সুন্দরকে লিঁয় ফিরিয়ে দেওয়ার পর বুমরা ক্রিজে এসে কোনও রান যোগ করতে পারেননি বোর্ডে। তাঁকে ফিরিয়ে দেন কামিন্স। সেই সময় নন স্ট্রাইকার এন্ডে ছিলেন নীতিশ। তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৯৯*। এই পরিস্থিতিতে স্ট্রাইকিং এন্ডে কামিন্সের তিনটি বল খেলা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ মহম্মদ সিরাজের কাছে। তবে কোনও সমস্যাই হয়নি সিরাজের। তিনটি বল সুন্দরভাবে কাটিয়ে দেন ভারতীয় পেসার। পরের ওভারে বোল্যান্ডের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করেন রেড্ডি। এরপরই খারাপ আলোর জন্য খেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তৃতীয় দিনে আর খেলা শুরু করা সম্ভব হয়নি। দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৩৫৮/৯। ১০৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন রেড্ডি। সিরাজ ২ রান করে ক্রিজে আছেন। চতুর্থ দিনে আরও কিছু রান যোগ করতে চাইবেন রেড্ডি নিঃসন্দেহে। সেক্ষেত্রে ভারতের ওপর চাপও কমবে।