Jagdeep Dhankhar Update: আদালতে জবাবদিহিতে বাধ্য নন রাজ্যপাল, ধনকড় অপসারণ মামলা খারিজ হাইকোর্টে

Jagdeep Dhankhar Update: আদালত জানিয়েছে, সংবিধানের ৩৬১ নম্বর ধারা অনুযায়ী রাজ্যপালকে নোটিস দেওয়া যায় না। আদালতের কাছে উত্তর দিতে বাধ্য নন তিনি।

—ফাইল চিত্র।

কলকাতা: রাজ্যপাল জগদীপ (Jagdeep Dhankhar) ধনকড়ের অপসারণ চেয়ে দায়ের জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আদালত জানিয়েছে, সংবিধানের ৩৬১ নম্বর ধারা অনুযায়ী রাজ্যপালকে নোটিস দেওয়া যায় না। আদালতের কাছে উত্তর দিতে বাধ্য নন তিনি।

ধনকড়ের অপসারণ চেয়ে চলতি মাসের শুরুতে জনস্বার্থ মামলা জমা পড়ে হাইকোর্টে। বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি দায়ের করেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। তাঁর অভিযোগ ছিল, রাজ্যপালের মতো সাংবিধানিক পদে থেকে সংবিধান বহির্ভূত কাজ করেছেন ধনখড়। একটি রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন তিনি।

ধনকড়ের অপসারণ চেয়ে চলতি মাসের শুরুতে জনস্বার্থ মামলা জমা পড়ে হাইকোর্টে। বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি দায়ের করেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। তাঁর অভিযোগ ছিল, রাজ্যপালের মতো সাংবিধানিক পদে থেকে সংবিধান বহির্ভূত কাজ করেছেন ধনখড়। একটি রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন তিনি। কিন্তু শুক্রবার ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জানান, সংবিধানে রাজ্যপালের যে ক্ষমতার উল্লেখ রয়েছে, তাতে তিনি আদালতে জবাবদিহিতে বাধ্য নন।

এ রাজ্যে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে বার বার বিরোধ বেধেছে ধনকড়ের। রাজ্যপাল এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করছেন, সাংবিধানিক পদে থেকে প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ করছেন বলে তা নিয়ে সরব হয়েছে রাজ্য সরকার। ধনকড়কে সরানোর দাবি ইতিমধ্যে সংসদেও উত্থাপিত করেছে তারা। তাতে তিক্ততা বেড়েছে বই কমেনি। 

রাজ্যপাল একাধিক বিল আটকে রেখেছেন, প্রশাসনিক কাজে নাক গলাচ্ছেন, এমন অভিযোগ তুলেছে রাজ্য। আবার নেটমাধ্যমে বিধানসভার অধিবেশনের সমাপ্তির ঘোষণা করে ধনকড় নিজও বিতর্ক ডেকে এনেছেন। রাজ্যপাল শুধুমাত্র রাজ্যের সুপারিশে অনুমোদন দিতে পারেন, অধিবেশন ডাকা, স্থগিত রাখা এবং বাতিল করার কোনও এক্তিয়ার রাজ্যপালের নেই বলে সরব হন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিও।