Mithun Controversial Speech ভোটের সময় উস্কানিমূলক মন্তব্য মামলায় মিঠুনকে ভার্চুয়াল জিজ্ঞাসাবাদ কলকাতা পুলিশের
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় ৪৫ মিনিট জিজ্ঞাসাবাদ করে মানিকতলা থানা। ১০ থেকে ১২টি প্রশ্ন করা হয় অভিনেতা তথা বিজেপি নেতাকে।

কলকাতা: ভোটের সময় উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে মিঠুন চক্রবর্তীকে ভার্চুয়াল জিজ্ঞাসাবাদ মানিকতলা থানার।
এই মামলায় এফআইআর খারিজের দাবিতে হাইকোর্টে যান মিঠুন চক্রবর্তী। হাইকোর্টে খারিজ হয় সেই আবেদন। ভার্চুয়াল জিজ্ঞাসাবাদে হাজির থাকতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
এরপর আজ সকাল ১০টা ০৫ মিনিট থেকে শুরু ভার্চুয়াল জিজ্ঞাসাবাদ। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় ৪৫ মিনিট জিজ্ঞাসাবাদ চলে। ১০ থেকে ১২টি প্রশ্ন করা হয় মিঠুন চক্রবর্তীকে।
রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বলিউড তারকা মিঠুন চক্রবর্তী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড সমাবেশে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
এর আগে তৃণমূল তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করেছিল। কিন্তু মেয়াদের মাঝপথেই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন মিঠুন। এরপর ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি।
ভোটের সময় রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিজেপির হয়ে প্রচার করেন তিনি। অনেক রোড শো ও সভা-সমাবেশ করেন তিনি। তারকার মেগা প্রচারে বিভিন্ন সভায় তাঁর মুখে শোনা যায় সিনেমার জনপ্রিয় সংলাপ।
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের প্রচারের সময় মিঠুন হিংসায় প্ররোচনা দিয়েছেন, এই অভিযোগ তুলে তাঁর বিরুদ্ধে মানিকতলা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল তৃণমূল।
মানিকতলা থানায় দায়ের করা এফআইআরে অভিযোগ করা হয় যে, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি হয়ে ভোটের প্রচারে ব্রিগেড সমাবেশে 'মারবো এখানে লাশ পড়বে শশ্মানে', 'এক ছোবলেই ছবি'-র মতো সংলাপ ব্যবহার করেছেন।
এফআইআরে অভিযোগ করা হয়েছে, এই সংলাপগুলি রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসার একটি কারণ। মিঠুন চক্রবর্তী শিয়ালদা আদালতে অতিরিক্ত প্রধান বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে তাঁর বিরুদ্ধে মামলায় প্রক্রিয়া খারিজের আর্জি জানান হাইকোর্টে।
মিঠুন চক্রবর্তী হাইকোর্টে তাঁর আবেদনে বলেছিলেন যে, ভোটের প্রচারের সময় তিনি যা বলেছিলেন, সেগুলি সিনেমার সংলাপমাত্র। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তিনি এ ব্যাপারে কোনওভাবেই সম্পর্কিত নন।
কিন্তু, মিঠুনের সেই আবেদন খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্ট। অভিনেতাকে পুলিশি তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। তবে, তবে সশরীরে হাজির হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছিল হাইকোর্ট।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
