Shikha Mitra in TMC: সাত বছর পর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন সোমেন-জায়া শিখা মিত্রর
সোমেন মিত্র যখন তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন, তখন বিধায়ক হন তাঁর স্ত্রী শিখা মিত্র। এরপর আচমকাই তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ ঘটে।
কলকাতা: ৭ বছর পর তৃণমূলে ফিরলেন সোমেন-জায়া শিখা মিত্র (Shikha Mitra)। সূত্রের খবর, গত ১৭ অগাস্ট সোমেন মিত্রর বাত্সরিকের দিন সোমেন-জায়ার সঙ্গে ফোনে কথা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এর আগে সোমেন মিত্র যখন তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন, তখন বিধায়ক হন তাঁর স্ত্রী শিখা মিত্র। এরপর আচমকাই তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ ঘটে। সোমেন মিত্র (Somen Mitra)-ও তৃণমূল (TMC) ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরেছিলেন। তিনি ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
সূত্রের খবর, গত বিধানসভা ভোটে শিখা মিত্র বিজেপির প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব ফেরালে তাঁর প্রতি তৃণমূলের আস্থা তৈরি হয়। ৭ বছর পর পুরনো দলে ফিরে তৃণমূলের বঙ্গ জননী বাহিনীতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে চলেছেন শিখা মিত্র।
শিখা মিত্র বলেছেন, আমি তৃণমূল ছাড়িনি কোনওদিন । সামান্য মনোমালিন্য হতেই পারে। তারপর দীর্ঘদিন রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলাম না। অন্যান্য কাজে ব্যস্ত ছিলাম।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোঁজ নেওয়ায় তাঁকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন শিখা মিত্র। বলেছেন, মমতার পর আর দ্বিতীয় কেউ নেই ।আমি কোনওদিন কংগ্রেসে (Congress) যোগদান করিনি।
একইসঙ্গে বলেছেন, বিজেপি একটা সাম্প্রদায়িক দল।
তাঁর যোগদানের পর তৃণমূল নেত্রী মালা রায় বলেন, "শিখা ফেরায় দল আরও শক্তিশালী হল। শিখা মিত্র রাজি ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে থেকে কাজ করবেন। কারণ তিনি দলের বিধায়ক ছিলেন দীর্ঘদিন।"
সোমেন মিত্রর মৃত্যুর পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন শিখা মিত্র। ছেলে রোহন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দেন। জল্পনা বাড়িয়ে গত বিধানসভা ভোটে চৌরঙ্গীর প্রার্থী হিসেবে শিখা মিত্রের নাম ঘোষণা করে দেয় বিজেপি ( BJP)।পরে শিখা মিত্রর আপত্তিতে, তাঁর নাম প্রার্থীতালিকা থেকে বাদ দেয় গেরুয়া শিবির।
২০০৯ থেকে তৃণমূলের ২ বারের বিধায়ক ছিলেন শিখা মিত্র।২০১৪-তে সোমেন মিত্রের তৃণমূল-ত্যাগের কয়েকমাস পরেই বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন তিনি।৭ বছর পরে সেই তৃণমূলেই ফিরলেন শিখা।
অন্যদিকে, এদিন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের আত্মীয়া শুভ্রা ঘোষ।
এ ব্যাপারে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, এটি একান্তাই শিখা মিত্রর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।