Alapan Banerjee: 'চিকিৎসকের নির্দেশেই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুমকি চিঠি' জেরায় স্বীকার টাইপিস্টের
মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Alapan Banerjee) খুনের হুমকি চিঠি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক চিকিৎসক। ধৃতের নাম অরিন্দম সেন (Dr Arindam Sen)। বাড়ি রাজা রামমোহন রায় সরণিতে।
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Alapan Banerjee) খুনের হুমকি দিয়ে চিঠি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার টাইপিস্ট। সেই সূত্র ধরে গ্রেফতার এক চিকিৎসক ও তাঁর গাড়ি চালক। ১২ নভেম্বর পর্যন্ত ধৃতদের পুলিশ (Kolkata Police) হেফজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Alapan Banerjee) খুনের হুমকি চিঠি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক চিকিৎসক। ধৃতের নাম অরিন্দম সেন (Dr Arindam Sen)। বাড়ি রাজা রামমোহন রায় সরণিতে। এ ছাড়াও, অভিযুক্ত চিকিৎসকের গাড়ি চালক রমেশ সাউ ও এক টাইপিস্ট বিজয়কুমার কয়ালকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী (Wife of Alapan Banerjee) সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় (Sonali Chakraborty Banerjee), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of calcutta) উপাচার্য। সম্প্রতি, তাঁর নামে হুমকি চিঠি পাঠানো হয়। দু-লাইনের চিঠিতে লেখা ছিল, আপনার স্বামীকে খুন করা হবে। কেউ তাঁকে বাঁচাতে পারবে না। এরপরই অভিযোগ দায়ের হয়, হেয়ার স্ট্রিট থানায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, হুমকি চিঠি টাইপ করার অভিযোগে সোমবার বিজন সেতুর কাছ থেকে গ্রেফতার করা হয় টাইপিস্ট বিজয়কুমার কয়ালকে।
তাঁকে জেরা করেই উঠে আসে চিকিত্সক অরিন্দম সেনের নাম। তদন্তকারীদের দাবি, ধৃত টাইপিস্ট জেরায় দাবি করেন, চিকিৎসক অরিন্দম সেনের নির্দেশেই তিনি হুমকি চিঠি টাইপ করেছিলেন। এরপরই সোমবার রাতে, বাড়ির সামনে থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভিযুক্ত চিকিৎসকের প্রতিবেশী বলছেন, আমরা আগেও শুনেনি, কয়েক জন এসে চিৎকার করতো, উড়ো চিঠি পাঠায়। এমনি নর্মাল থাকলেও, মাঝে মাঝে উল্টোপাল্টা বলত। অভিযুক্ত চিকিৎসক অরিন্দম সেন সাউথ পয়েন্টের (South Point) প্রাক্তনী। বিহারের কিষাণগঞ্জের এমজিএম মেডিক্যাল কলেজ থেকে MBBS পাস করেছেন। এরপর, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ থেকে তিনি স্নাতকোত্তর করেন।
বর্তমানে তিনি, কেপিসি মেডিক্যাল কলেজে (KPC Medical College) কর্মরত। কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ (KPC Medical College) সূত্রে খবর, ২০১৫ সালে সহকারি অধ্যাপক হিসেবে ফার্মাকোলজি বিভাগে যোগ দেন। ডাক্তারি পড়ুয়াদের পড়াতেন। এ দিন ধৃতদের, আদালতে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী বলেন, ধৃতের বিরুদ্ধে পুলিশ ভুয়ো নথি তৈরি, জাল সই করা ও চক্রান্তের ধারা যুক্ত করতে চায়। যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, তার নিচে যার সই করা হয়েছে, তিনি রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের একজন ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট। সরকারি কর্মীর ভুয়ো সই করা প্রতারণা।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অভিযুক্ত চিকিৎসকের কোনও আত্মীয়ের বাড়িতে রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের ওই ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাড়া থাকেন। এ ছাড়াও, অন্য কোনও বিষয় আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে ধৃত তিন জনেরই, ১২ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফজতের নির্দেশ দেয় আদালত।