Cyclone Yaas: ধেয়ে আসছে ইয়াস, গঙ্গায় বাড়বে জলস্তর, বৃষ্টিতে জল জমে দুর্ভোগ বাড়তে পারে কলকাতায়
লকগেট বন্ধ থাকবে সকাল ১১৩০ থেকে ৪ ঘণ্টা। লকগেট বন্ধ থাকার সময় বৃষ্টি হলে কলকাতায় জল জমবে। জানানো হল কলকাতার পুরসভার তরফে।
কলকাতা: ধেয়ে আসছে ইয়াস। এরইমধ্যে আজ দুপুরে গঙ্গায় বাড়বে জলস্তর। দুপুর ১২.৪৩ মিনিটে নদীর জলস্তর হবে ১৬.৭৫ ফুট। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে লকগেট। কাল দুপুরে আরও ১ ফুট বাড়বে গঙ্গার জলস্তর। কাল দুপুর ১.২৩ মিনিটে জলস্তর হবে ১৭.২৫ ফুট। লকগেট বন্ধ থাকবে সকাল ১১৩০ থেকে ৪ ঘণ্টা। লকগেট বন্ধ থাকার সময় বৃষ্টি হলে কলকাতায় জল জমবে। জানানো হল কলকাতার পুরসভার তরফে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ক্রমশ উপকূলের নিকটবর্তী হচ্ছে। কলকাতাতেও এর প্রভাব পড়বে বলেই আশঙ্কা। প্রবল ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ইতিমধ্যে বৃষ্টি শুরুও হয়েছে।এই পরিস্থিতিতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় জল জমে দুর্ভোগ বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা।
গঙ্গার জলস্তর বাড়তে শুরু করায় হুগলির গঙ্গাতীরবর্তী এলাকাগুলি থেকে কাঁচা বাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রিষড়ায় কমপক্ষে ১৫০টি পরিবারকে ত্রাণকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আগামীকাল ভোরে তা আছড়ে পড়তে পারে উপকূল অঞ্চলে। সেই সময় হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার। পারাদ্বীপ ও সাগরদ্বীপের মধ্যে দিয়ে বালেশ্বরের কাছাকাছি এলাকা দিয়ে যাওয়ার কথা ঘূর্ণিঝড়ের।
গতবছরের ২০ মে এরাজ্যের ওপর আছড়ে পড়া আমফানের সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ইয়াসের ল্যান্ডফলের পর পূর্ব মেদিনীপুরে একই গতিতে ঝড় বইতে পারে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার সকালেই তা আছড়ে পড়বে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও ওড়িশার পারাদ্বীপের মাঝখানে বালেশ্বরের কাছে স্থলভাগে, যাকে বলে ল্যান্ডফল।ল্যান্ডফলের জায়গা অর্থাৎ বালেশ্বর থেকে দিঘার দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার। সাগরের দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার। কলকাতার দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার।
এর প্রভাবে গোটা রাজ্যে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টি হতে পারে হাওড়া, হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগনায়।
পূর্ব মেদিনীপুরে আগামীকাল ভোরে হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সময় সর্বোচ্চ গতিবেগ পৌঁছোতে পারে ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটারে।
মৌসম ভবন সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সময় কলকাতায় ঘণ্টায় ৭০ থেকে ১০০ কিলোমিটার হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে। ওই সময় দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনায় হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার।