West Bengal Coronavirus: করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলেই জানাতে হবে সব তথ্য, নির্দেশিকা জারি স্বাস্থ্য দফতরের
এই পরিস্থিতিতে করোনা নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কোভিড পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকে আরও সক্রিয় করে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত রোগীর যাবতীয় তথ্য স্বাস্থ্যভবনকে জানাতে হবে। কোভিড রোগী ভর্তি হওয়া মাত্রই তা জানাতে হবে স্বাস্থ্যভবনকে। জানাতে হবে রোগীর পরিবারের তথ্য, ফোন নম্বর ৷
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি হলেই, দ্রুত তাঁর যাবতীয় তথ্য স্বাস্থ্যভবনকে জানাতে হবে। CCU, ICU-তে থাকা রোগীর তথ্য দিনে চারবার আপডেট করতে হবে। করোনা সংক্রমণ ভয়ঙ্করভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দিল রাজ্যের স্বাস্থ্যদফতর।
অসম, কেরল, তামিলনাড়ু, পুদুচেরিতে শেষ হলেও, বাংলায় এখনও পাঁচ দফার ভোট বাকি। ভোটের উত্তাপ যত বাড়ছে, ততই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে করোনা! আগে যা কখনও হয়নি, তাই এখন হচ্ছে। করোনা ভয়ঙ্কর সব রেকর্ড গড়ছে ভারতে! রাজ্যেও করোনা পরিস্থিতি দিনে দিনে উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে।
এই পরিস্থিতিতে করোনা নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কোভিড পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকে আরও সক্রিয় করে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত রোগীর যাবতীয় তথ্য স্বাস্থ্যভবনকে জানাতে হবে। কোভিড রোগী ভর্তি হওয়া মাত্রই তা জানাতে হবে স্বাস্থ্যভবনকে। জানাতে হবে রোগীর পরিবারের তথ্য, ফোন নম্বর ৷
CCU, ICU এবং HDU-তে ভর্তি থাকা করোনা রোগীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য দিনে চারবার আপডেট করতে হবে। জেনারেল বেডে থাকা ক্রিটিক্যাল রোগীদের তথ্য দিনে দু’বার এবং জেনারেল বেডে ভর্তি করোনা রোগীদের তথ্য দিনে একবার আপডেট করতে হবে। পরীক্ষা হওয়া মাত্রই যাবতীয় রিপোর্ট পাঠাতে হবে।
করোনা আক্রান্ত কোনও রোগীর মৃত্যু হলে, চার ঘণ্টার মধ্যে স্বাস্থ্যভবনকে জানাতে হবে। এই বিষয়ে হাসপাতাল সুপার ব্যক্তিগতভাবে দায়বদ্ধ থাকবেন। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবের তরফে এই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সমস্ত জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, মেডিক্যাল কলেজের সুপার এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে এর পাশাপাশি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ১৬১ জন অস্থায়ী সাফাই কর্মীর চুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। স্বাস্থ্যদফতরের পরিসংখ্যান বলছে, গত জানুয়ারি মাসে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৮২১। ফেব্রুয়ারিতে সংখ্যাটা কমে দাঁড়ায় ৫ হাজার ১২০। মার্চে আবার দ্বিগুণের বেশি বেড়ে হয়ে যায় ১১ হাজার ৭৯৭। আর চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই, আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ১০৯ জন। এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট, করোনা দিনে দিনে আরও ভয়ঙ্কর হচ্ছে।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )