Parliament Winter Session: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়ে তুমুল শোরগোল, লোকসভায় সাসপেন্ড অধীর-সহ ৩৩ বিরোধী সাংসদ
Opposition MPs Suspended:ফের 'সাসপেনশন' লোকসভায়। এবার তালিকায় লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী-সহ মোট ৩৩ জন সাংসদ।
নয়াদিল্লি: ফের 'সাসপেনশন' লোকসভায়। এবার তালিকায় লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী-সহ মোট ৩৩ জন সাংসদ (Lok Sabha Suspends 33 Opposition Members)। সংসদে 'স্মোক ক্যান' হামলার পর নিরাপত্তা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতির দাবিতে এদিনও তুমুল শোরগোল করেন বিরোধীরা। তার পরই ৩৩ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত। তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, শতাব্দী রায়, অসিত মাল, প্রতিমা মণ্ডল, সুনীল মণ্ডল। কংগ্রেসের 'সাসপেন্ডেড' সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন গৌরব গগৈ। ডিএমকে সাংসদ এ রাজা, দয়ানিধি মারান, টি আর বালুকে-ও সাসপেন্ড করা হয় সোমবার। শীতকালীন অধিবেশনের বাকি সময়টা তাঁরা আর আসতে পারবেন না। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে লোকসভার এই অধিবেশনে সাসপেন্ড হওয়া বিরোধী সাংসদের সংখ্যা ৪৬।
প্রতিক্রিয়া...
এক দিনে বিরোধী শিবিরের ৩৩ জন সাংসদকে সাসপেনশনের সিদ্ধান্তে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন বলেন, 'আমি ভাগ্যবান, আমি এখন সাংসদ নই। যা চলছে তা কাঙ্খিত নয়।' প্রতিবাদের সুর ধরা পড়েছে লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা থেকে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর কথাতেও। তিনি বলেন, 'সংসদকে পার্টি অফিসের মতো চালাতে চাইছে বিজেপি।' এক্স হ্যান্ডেলে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গেও। পোস্টে লেখা, 'প্রথমে অনুপ্রবেশকারীরা সংসদে হামলা চালাল। তারপর মোদি সরকার সংসদ ও গণতন্ত্রের উপর হামলা চালাল। প্রধানমন্ত্রী সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন। কিন্তু সংসদের প্রতি তাঁদের বিন্দুমাত্র দায়বদ্ধতা নেই।' আগামীকাল বিজেপি-বিরোধী 'ইন্ডিয়া' জোটের বৈঠক। তার আগে বিরোধী শিবিরের ৩৩ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত কি বিজেপি বিরোধিতার পালে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে?
প্রেক্ষাপট...
'ক্যাশ ফর কোয়েশ্চেন' কাণ্ডে তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রকে সংসদ থেকে বহিষ্কার, তার পর পার্লামেন্টের নিরাপত্তা নিয়ে বিরোধীদের তুমুল হট্টগোলের মুখে রাজ্যসভা থেকে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের 'সাসপেনশন', তাঁর আচরণ প্রিভিলেজ কমিটি-কে দিয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত। একের পর এক ঘটনা নিয়ে বার বার বিক্ষোভ হয়েছে শীতকালীন অধিবেশনে। একাধিক বার মুলতুবিও হয়েছে অধিবেশন। তবে 'স্মোক ক্যান' হামলার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে শোরগোল শুরু হলে যে ভাবে বিরোধী সাংসদদের বিরুদ্ধে 'সাসপেনশন' -র সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাতে শীতের দিল্লিও উত্তপ্ত। যদিও পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্য় বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন, সংসদে হট্টগোল করে কাজ চালাতে না দেওয়া হলে সেই নিয়ে স্পিকার কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তাকে অগণতান্ত্রিক বলা যায় কি? বঙ্গ বিধানসভায় বিজেপি বিধায়করা যে সাসপেন্ড হয়েছেন, সে কথা মনে করিয়ে এদিনের ক্ষোভকে 'দ্বিচারিতা' ব্যাখ্যা করেন দিলীপ। সব মিলিয়ে ফের তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।