মধ্যপ্রদেশে এক মণ্ডপে দুই কনেকে দুপাশে বসিয়ে বিয়ে করলেন বর! সাক্ষী পরিবার থেকে গ্রামবাসী
বিয়ের খবর চারদিকে চাউর হতেই নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন....কী করে এমন ঘটনা ঘটল, খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে তদন্ত....
ভোপাল: অভাবনীয়, অকল্পনীয়, অবিশ্বাস্য! এক মণ্ডপে একসঙ্গে দুই কণেকে বিয়ে করলেন বর! অভিনব বিয়েতে হাজির গ্রামের সব মানুষ।
খবরে প্রকাশ, মধ্য়প্রদেশের বেতুল জেলার ঘোড়াডোংরি ব্লকের অন্তর্গত কেরিয়া গ্রামের বাসিন্দা সন্দীপ উইকে গত ৮ তারিখ ওই অভাবনীয় কাণ্ড ঘটিয়েছেন। এদিকে, এই বিয়ের খবর চারদিকে চাউর হতেই নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। কী করে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।
স্থানীয় সংবাদমাধ্য়মে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আদিবাসী যুবকের এখন দুজন স্ত্রী। একজন হোসাঙ্গাবাদের বাসিন্দা। অন্যজন ঘোড়াডোংরি ব্লকেরই কোয়ালারি গ্রামের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, ভোপালে পড়াশোনা করার সময়ে হোসাঙ্গাবাদের মহিলার সঙ্গে আলাপ হয় সন্দীপের। সেখান থেকে প্রণয়। এরমধ্যে তাঁর বিয়ে পাশের গ্রামের মেয়ের সঙ্গে ঠিক করে সন্দীপের পরিবার।
এই নিয়ে বিবাদ শুরু হয় তিন পরিবারের মধ্য়ে, যা চরম আকার নেয়। সমস্য়া সমাধানে পঞ্চায়েত তিন পরিবারকে ডেকে পাঠায়। সেখানে স্থির হয়, যদি উভয় মহিলা সন্দীপের সঙ্গে একসঙ্গে থাকতে রাজি থাকেন, তাহলে দুজনকেই বিয়ে করতে পারে যুবক। এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান দুই মহিলাই।
সেইমতো, কেরিয়া গ্রামে বিয়ের বাসর বসে। এক মণ্ডপে দুই কনেকে দুপাশে বসিয়ে দুজনকেই বিয়ে করেন যুবক। সাতপাক নিয়ে জীবনভর একসাথে চলার শপথ নেন তিনজন। এই প্রথম এমন হল যে, এক বরের সঙ্গে বিয়ে হল দুই কনের। অভিনব এই বিয়ে দেখতে হাজির ছিল গ্রামের সব মানুষ। স্থানীয় পঞ্চায়েত নেতা জানান, দুই কনের পরিবারের এই বিয়েতে কোনো আপত্তি ছিল না। যে কারণ, তাতে মত দেওয়া হয়।
এদিকে, ঘোড়াডোংরি মহকুমাশাসক মণিকা বিশ্বকর্মা জানান, করোনাভাইরাসের আবহে বিয়েতে জনসমাগম কথা মাথায় রেখে বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু, এক্ষেত্রে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। এই বিয়ের তদন্ত করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।