Madhya Pradesh News: বিয়ের চারদিন আগে তরুণীকে শেষ করে দিল বাবা-দাদা, হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইল পুলিশ, পঞ্চায়েত
Viral News: মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়র থেকে ভয়াবহ ঘটনা সামনে এসেছে।
গ্বালিয়র: বিয়ের চারদিন আগে মেয়েকে গুলি করে খুন করল বাবা। তাও আবার পঞ্চায়েত, পুলিশের সামনেই। বাড়ি থেকে দেখে দেওয়া ছেলে নয়, নিদের পছন্দে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন তরুণী। অভিযোগ, সেই 'অপরাধে'ই মেয়ের বুকে গুলি গেঁথে দেয় বাবা। গুলি চালায় তুতো দাদাও। তরুণীর কপালে, চোখ ও নাকের মাঝে এবং ঘাড়ে গুলি লাগে। সঙ্গে সঙ্গেই মারা যান তরুণী। (Madhya Pradesh News)
মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়র থেকে ভয়াবহ ঘটনা সামনে এসেছে। মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ শহরের গোলা কা মন্দির এলাকায় রীতিমতো জমায়েত হয়েছিল। সেখানেই একেবারে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে ওই ব্যক্তি এবং তার ভাইপো তরুণীকে গুলি করে মেরে ফেলে বলে জানা গিয়েছে। চার দিন পরই তরুণীর বিয়ে ছিল। সেই নিয়ে পারিবারিক অশান্তি চরমে পৌঁছয়। তা থেকেই এমন ঘটনা বলে খবর। (Viral News)
জানা গিয়েছে, ২০ বছর বয়সি তনু গুর্জরের বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পরিবারের দেখে দেওয়া ছেলেকে বিয়ে করতে আপত্তি ছিল তাঁর। নিজের পছন্দে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিছুতেই পরিবারকে রাজি করাতে না পেরে, স্যোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন তনু। ৫২ সেকেন্ডের ওই ভিডিও-য় পরিবারকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। বাবা মহেশ গুর্জর এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা তাঁর উপর জোরজবরদস্তি করছে, তাঁকে হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ করেন। পাশাপাশি প্রাণহানির আশঙ্কার কথাও জানান।
ভিডিও-য় তরুণী জানান, ভিকি নামের এক যুবকের সঙ্গে সংসার বাঁধতে চান তিনি। প্রথমে পরিবার রাজিও হয়েছিল। কিন্তু পরে বেঁকে বসে। এর পর রোজ মারধর শুরু হয়। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় তাঁকে। মারাত্মক কিছু যদি ঘটে তাঁর সঙ্গে, সেক্ষেত্রে পরিবার দায়ী থাকবে বলেও ভিডিও-য় মন্তব্য করেন তনু। যে ভিকির কথা উল্লেখ করেন তনু, তিনি উত্তরপ্রদেশের আগরার বাসিন্দা। আসল নাম ভিখম মাওয়াই। ছ'বছর ধরে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক তনুর।
মুহূর্তের মধ্যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। স্থানীয় পুলিশের কাছেও সেটি পৌঁছয়। এর পর পুলিশ সুপার ধর্মবীর সিংহ তনুর বাড়িতে পৌঁছন। দু'পক্ষের মধ্যে মীমাংসার চেষ্টা করেন তিনি। সেই নিয়ে পঞ্চায়েতও বসানো হয়। সেই সময় তনু জানিয়ে দেন, ওই বাড়িতে আর থাকতে চান না তিনি। পারিবারিক হিংসার শিকার মহিলাদের মতো তাঁকে সরকারি হোমে নিয়ে যাওয়া হোক বলেও আবেদন জানান। বাড়িতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান তিনি।
সেই সময় তনুর বাবা মহেশ একান্তে তার সঙ্গে কথা বলতে চায়। সেই নিয়ে তর্কাতর্কির মধ্যেই একেবারে সামনে থেকে মেয়েকে গুলি করে মহেশ। বুকে গুলি লাগে তনুর। এর পর তনুর তুতো দাদা রাহুল গুলি চালায়। তিনটি গুলি যথাক্রমে তনুর কপালে, নাক ও চোখের মাঝের অংশে এবং ঘাড়ে লাগে। সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে পড়ে যান তনু। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ এবং পঞ্চায়েতের সামনেই এই ঘটনা ঘটে। তনুকে খুন করে মহেশ এবং রাহুল পুলিশের দিকে দেশি পিস্তল তাক করে। রক্তারক্তি ঘটানোর হুমকি দেয়।
শেষ পর্যন্ত মহেশকে যদিও পাকড়াও করে পুলিশ। কিন্তু রাহুল পালাতে সফল হয়। ১৮ জানুয়ারি বিয়ের কথা ছিল। তার আগে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মহেশকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাহুলের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তনুর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের রেকর্ডও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।