Maharashtra Doctor Incident: মহারাষ্ট্রে তরুণী চিকিৎসকের 'ধর্ষণ-আত্মহত্যার' ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত SI গোপাল বাদনে
Pune Doctor Case: 'আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী সাব-ইন্সপেক্টর গোপান বাদনে, উনি আমাকে ধর্ষণ করেছেন', সুইসাইড নোটে উল্লেখ মৃত মহিলা চিকিৎসকের।

মহারাষ্ট্র : মহারাষ্ট্রে 'ধর্ষণ'-আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত SI, তরুণী চিকিৎসকের আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেফতার সাব ইনস্পেক্টর গোপাল বাদনে। সাতারা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ মূল অভিযুক্ত SI-এর। তরুণী চিকিৎসকের আত্মহত্যা কাণ্ডে আগেই গ্রেফতার হন ইঞ্জিনিয়ার প্রশান্ত ব্যাঙ্কার। বিজেপি-রাজ্য মহারাষ্ট্রে পুলিশের হাতে ধর্ষণের শিকার মহিলা সরকারি চিকিৎসক। ধর্ষণের শিকার মহিলা চিকিৎসক আত্মঘাতী। '৫ মাসে ৪ বার ধর্ষণ চালিয়েছে পুলিশ অফিসার, চালানো হয়েছে মানসিক নির্যাতন', হাতের তালুতে সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী সরকারি চিকিৎসক। চার পাতার সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে।
'আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী সাব-ইন্সপেক্টর গোপান বাদনে, উনি আমাকে ধর্ষণ করেছেন', সুইসাইড নোটে উল্লেখ মৃত মহিলা চিকিৎসকের। ভুয়ো ফিটনেস সার্টিফিকেট দিতে চাপ দিতেন পুলিশ অফিসার, সুইসাইড নোটে উল্লেখ। ১ সাংসদ এবং তাঁর ব্যক্তিগত সহকারীর বিরুদ্ধেও চাপ দেওয়ার অভিযোগ মৃত চিকিৎসকের। সাতারার ফল্টন উপজেলা হাসপাতালে কাজ করতেন ওই মহিলা চিকিৎসক। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্ন সময়ে মোট ২১ বার অভিযোগ জানিয়েছিলেন চিকিৎসক। কোনও অভিযোগই কাজে আসেনি, অভিযোগ মৃত চিকিৎসকের পরিবারের। ৫ দিনের মধ্যে অ্যাকশন টেকন রিপোর্ট চেয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন।
মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলায় দিনের পর দিন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ওই তরুণী চিকিৎসক। বারবার অভিযোগ জানিয়েও মেলেনি কোনও সুরাহা। শেষ পর্যন্ত আত্মঘাতী হয়েছেন ওই তরুণী চিকিৎসক। তবে সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছেন সমস্ত অভিযোগ। এমনকি নিজের হাতেও লিখে গিয়েছেন সব অভিযোগ। তার ভিত্তিতেই এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথমে গ্রেফতার হন এক ইঞ্জিনিয়ার প্রশান্ত ব্যাঙ্কার। তারপর গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার হয়েছেন মূল অভিযুক্ত গোপাল বাদানে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গ্রেফতার হওয়া প্রশান্তর বাড়িতেই ভাড়া থাকতেন আত্মঘাতী তরুণী চিকিৎসক। পুলিশের দাবি, আত্মঘাতী তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল এই যুবকের। সুইসাইড নোটে অভিযুক্ত হিসেবে প্রশান্ত বাঙ্কারের নাম লিখে গিয়েছেন আত্মঘাতী তরুণী।
সাতারার এসপি তুষার দোশী জানিয়েছেন, ফল্টন গ্রামীণ থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন এসআই গোপাল বাদানে। এরপর তাঁকে গ্রেফতার করা। সুইসাইড নোটে আত্মঘাতী তরুণী চিকিৎসক লিখে গিয়েছেন, একাধিকবার তাঁকে ধর্ষণ করেছেন এই এসআই বাদানে। অন্যদিকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার প্রশান্ত মানসিক ভাবে হেনস্থা করতেন ওই তরুণী চিকিৎসককে। গ্রেফতার হওয়া ২ জনের বিরুদ্ধেই ধর্ষণ এবং আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।





















