Maharashtra Full Lockdown : করোনা নিয়ন্ত্রণে পূর্ণ লকডাউন ? আজ ঘোষণা মহারাষ্ট্র সরকারের
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। সেখানে সব মন্ত্রী তাঁকে পূর্ণ লকডাউনের পরামর্শ দেন।
মুম্বই : রাজ্যে ঊর্ধ্বমুখী কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে অস্বস্তি বাড়ছে উদ্ধব সরকারের। কার্ফু, কড়া বিধিনিষেধেও বাগে আসছে না করোনার গ্রাফ। বেগতিক বুঝে এবার পূর্ণ লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে মহারাষ্ট্র সরকার। গতকালই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে জানিয়েছিলেন, রাজ্যে লকডাউন হবে কি না তা আগামীকাল(বুধবার) রাত আটটায় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করবেন।
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। সেখানে সব মন্ত্রী তাঁকে পূর্ণ লকডাউনের পরামর্শ দেন। নাইট কার্ফু, ধারা ১৪৪ জারি করার পরিবর্তে পূর্ণ লকডাউনের প্রসঙ্গ তুলেছেন মন্ত্রীরা। তবে, এনিয়ে শেষ সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীই নেবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
কোভিডে কী হাল মহারাষ্ট্রের ?
রাজ্যের করোনা বুলেটিন বলছে, মঙ্গলবার নতুন করে মহারাষ্ট্রে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৬২ হাজার ৯৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ৫১৯ জন। মহারাষ্ট্রে বর্তমানে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৬,৮৩,৮৫৬। যা স্বাভাবিকভাবেই ঘুম ছুটিয়েছে রাজ্য সরকারের।
এই পরিস্থিতিতে গতকাল বৈঠক বসে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভা। সেখানে প্রায় সব মন্ত্রীই পূর্ণ লকডাউনের পক্ষে সায় দেন। রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে বলেন, ''এখন যা পরিস্থিতি তাতে পূর্ণ লকডাউন ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর খুব চাপ পড়ছে। প্রতিদিন কোভিড রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যার ফলে অক্সিজেনের অভাব দেখা দিচ্ছে। ক্যাবিনেট মিটিংয়ে এসব কিছুই মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছেন অন্যান্য মন্ত্রীরা। এবার বিষয়টা ওঁর হাতে।''
কেন পূর্ণ লকডাউন প্রয়োজন ?
গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিক থেকেই রাজ্যে কোভিড নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। সেক্ষেত্রে লকডাউন, নাইট কার্ফু জারি রয়েছে মহারাষ্ট্রে। এপ্রিলে রাজ্যজুড়ে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। যার জেরে একসঙ্গে চার জনের জমায়েত নিষিদ্ধ। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বাদে সব দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে নানা বিধিনিষেধ জারি হলেও পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেনি উদ্ধব সরকার। এবার সেই পথেই এগোতে পারে মহারাষ্ট্র।
এদিকে করোনা মোকবিলায় টিকাকরণের বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখছে মহারাষ্ট্র সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে জানিয়েছেন, ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের টিকাকরণের বিষয়ে আমরা এখনও কেন্দ্রের কাছ থেকে কোনও চিঠি পাইনি। তবে, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পূর্ণ মাত্রায় টিকাকরণ কর্মসূচি চলবে। প্রয়োজনে কেন্দ্রের অনুমতি নিয়ে অন্য দেশ থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে আসা হবে।
পাশাপাশি তিনি জানান, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় অক্সিজেনের অভাব দেখা দিয়েছে।
ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ছয় দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে দিল্লি। ২২ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন শুরু হচ্ছে ঝাড়খণ্ডে। নাইট কার্ফুর পথে হাঁটছে তেলেঙ্গানা। এবং সপ্তাহান্তে লকডাউনের পথে যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ। এবার দেখার মহারাষ্ট্র কী সিদ্ধান্ত নেয়।