Manipur : ১৫ অগাস্ট ধর্মঘটের ডাক একাধিক নিষিদ্ধ সংগঠনের, নিরাপত্তা বাড়ল মণিপুরে
Independence Day Celebration : রাজধানী ইম্ফলেও চলছে প্রস্তুতি। অস্থায়ী গেট তৈরি করা হয়েছে। টাঙানো হয়েছে হোর্ডিং
ইম্ফল : তিন মাসের বেশি সময় ধরে অশান্ত মণিপুর। এমনিতেই সেখানে বিশাল নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এদিকে স্বাধীনতা দিবসের দিন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ইম্ফল-উপত্যকার কয়েকটি নিষিদ্ধ সংগঠন। তার পরিপ্রেক্ষিতে মণিপুরে জোরদার করা হল নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এদিন পাঁচ জেলার স্পর্শকাতর এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে যাতে কোনও খামতি না থাকে, সেই লক্ষ্যে রিহার্সাল করছেন BSF, পুলিশ ও অসম রাইফেলের কর্মীরা। ১৫ অগাস্ট হবে পদযাত্রা।
সরকারি এক আধিকারিক বলেন, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চূড়াচাঁদপুর জেলার তুইবাঙ্গ এলাকার পিস গ্রাউন্ডে রিহার্সাল হয়েছে। BSF, পুলিশ, ছাত্র ও অসম রাইফেলের ২১টি প্রতিনিধিদল প্যারেডে যোগ দেয়।
রাজধানী ইম্ফলেও চলছে প্রস্তুতি। অস্থায়ী গেট তৈরি করা হয়েছে। টাঙানো হয়েছে হোর্ডিং। অপর এক সরকারি আধিকারিক জানান, স্বাধীনতা দিবসের দিন একাধিক জঙ্গি সংগঠন ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাড়ানো হয়েছে।
স্বাধীনতা দিবসে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে একাধিক নিষিদ্ধ সংগঠন। সেই তালিকায় রয়েছে- কোঅর্ডিনেটিং কমিটি। ওই দিন রাত ১টা থেকে সন্ধে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত তারা ধর্মঘট ডেকেছে। মণিপুরের আরও ২টি সংগঠন ১৫ অগাস্ট পৃথকভাবে বনধের ডাক দিয়েছে। X হ্যান্ডেলে মণিপুর পুলিশ লিখেছে, ইম্ফল পশ্চিম, ইম্ফল পূর্ব, থৌবাল, বিষ্ণুপুর ও চূড়াচাঁদপুর জেলার স্পর্শকাতর এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী তল্লাশি চালিয়ে ১২টি অস্ত্র, ৬টি গুলি ও ৮টি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে।
প্রসঙ্গত, জাতিগত হিংসায় বিধ্বস্ত মণিপুরে পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি। গত ৩ মে থেকে এই রাজ্যে কুকি-জো-চিন ও মেইতি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে এই পরিংসংখ্যান। পুলিশি এই ডেটা সম্প্রতি জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) । এদিকে প্রায় তিন মাস ধরে হিংসার ঘটনা লেগেই রয়েছে মণিপুরে।
মে ৩ থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে, সেই অনুযায়ী, ৬ হাজার ৫২৩টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। যার অধিকাংশই 'জিরো এফআইআর।' 'জিরো এফআইআর' (Zero FIR) যে কোনও থানায় দায়ের করা যায়। যে থানা এলাকায় সংশ্লিষ্ট ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানেই করতে হবে এমন কোনও মানে নেই। এই ধরনের এফআইআরে কোনও সংখ্যা দেওয়া হয় না। তাই 'জিরো এফআইআর' বলা হয় বিষয়টিকে। এবং যেখানে মামলা দায়ের করা হচ্ছে, সেখান থেকে নির্দিষ্ট থানায় তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে যার তদন্ত শুরু হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, একই মামলায় এরকম একাধিক জিরো এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। মণিপুর জুড়ে যেহেতু মে, জুন ও জুলাই মাসে এরকম প্রচুর জিরো এফআইআর হয়েছে, তাই পুলিশের কাছে এজাতীয় মামলার সংখ্যা ১৪ হাজার ছাপিয়ে গেছে। এমনই তথ্য জমা পড়েছে শীর্ষ আদালতে।