‘সংকীর্ণ রাজনীতি কৃষকদের ক্ষতি করছে’, কৃষি যোজনায় নাম নথিভুক্ত না করা রাজ্যগুলোর সমালোচনায় মোদি
কৃষক সম্প্রদায়ের ক্ষতির জন্য ‘ক্ষুদ্র রাজনীতিকেই’দায়ী করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।
কর্ণাটক: প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান যোজনায় নাম নথিভুক্ত করায়নি অনেক রাজ্য, আর সেকারণেই ক্ষতি হচ্ছে বৃহত্তর কৃষক সম্প্রদায়ের। বৃহস্পতিবার, কৃষক সম্প্রদায়ের ক্ষতির জন্য ‘ক্ষুদ্র রাজনীতিকেই’দায়ী করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “আমাদের সরকার কৃষকদের চাহিদা, প্রয়োজন বোঝে। সেইমতো কৃষকের আশা, আকাঙ্খা পূরণের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তবে এমন (ক্ষুদ্র) রাজনীতি কখনই কৃষকদের শক্তিশালী করবে না।” কর্ণাটকের তুমাকুরুতে একটি অনুষ্ঠানে এসে নরেন্দ্র মোদি সমালোচনার সুরেই বলেন, যে যে রাজ্য এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনায় নাম নথিভুক্ত করায়নি, সেই রাজ্যগুলো যেন নতুন বর্ষে তা করে নেয়।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী কৃষি যোজনায় নাম নথিভুক্ত না করার জন্য একাধিক রাজ্যের অ-বিজেপি সরকারকেই দুষেছেন। নরেন্দ্র মোদি তুমাকুরুর অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে দাবি করেন, তাঁর সরকার কৃষিকে পৃথক ভাবে দেখে না। বরং দেশের সার্বিক বিষয়ের মধ্যেই কৃষিকে গুরুত্বপূর্ণভাবে দেখা হয়। কেন্দ্রের এনডিএ সরকার সর্বতভাবে গরিবের হাতে অর্থ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে বলেও দাবি করেছেন নরেন্দ্র মোদি। এই সরকারের আমলে ‘মধ্যভোগী’দের (মিডিলম্যান) রমরমাও আর নেই বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “আগে কেন্দ্র থেকে যে টাকা দেওয়া হত তার মাত্র ১৫ পয়সাই গরিব মানুষ পেত। মধ্যভোগীরাই ৮৫ পয়সা নিজের পকেটে পুড়ে নিত। এখন দিল্লি থেকে যে টাকা দেওয়া হয়, তার পুরোটাই উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাচ্ছে।”
কেন্দ্র সরকার কৃষির উন্নয়নে সেচ পরিষেবা ও মাটির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কার্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু কৃষিই নয়, কৃষির সঙ্গে মৎস্য ক্ষেত্রেও যে সরকারের আর্থিক সাহায্য ও আধুনীকিকরণের ইতিবাচক পদক্ষেপ রয়েছে সেকথাও তুলে ধরেন তিনি।