উত্তরপ্রদেশে এনটিপিসি-র বয়লার ফেটে মৃত ১৮, জখম বহু, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী-সনিয়ার, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা রাজ্যের
লখনউ: উত্তরপ্রদেশের রায় বরেলি জেলার উনচাহারে ন্যাশনাল থার্মল পাওয়ার কর্পোরেশনের (এনটিপিসি) তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হল অন্তত ১৮ জনের। জখম বহু। হতাহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। শোকপ্রকাশ করে মৃতদের পরিবারপিছু দু’লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের ৫০,০০০ টাকা এবং সামান্য আহতদের ২৫,০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি তিনদিনের সফরে মরিশাসে গিয়েছেন। সেখান থেকেই বিস্ফোরণের খবর পেয়ে এই ঘোষণা করেছেন।
এনটিপিসি-র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৫০০ মেগাওয়াটের ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে আজ বিকেলে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। জেলা প্রশাসনের সহায়তায় উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছে। এনটিপিসি-র উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬ নম্বর ইউনিটে আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে।
[embed]https://twitter.com/PMOIndia/status/925756967318118401[/embed] https://twitter.com/INCSandesh/status/925754739186208769ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন টুইটারে তিনি লেখেন, দুর্ঘটনার খবরে তিনি মর্মাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা। আশা করি আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে কেন্দ্র। স্বাভাবিক পরিস্থিতি যাতে ফিরে আসে, তা নিশ্চিত করা হবে।
শোকবার্তা দিয়েছেন সনিয়া গাঁধী, যিনি এই কেন্দ্রের সাংসদও। ত্রাণ ও উদ্ধারে সাহায্য করতে তিনি স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীদের নির্দেশ দেন। খবর পেয়েই কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আর কে সিংহ সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকবার্তা দেন। তাঁর নির্দেশে ঘটনাস্থলে পৌঁছন এসটিপিসি সিএমডি গুরদীপ সিংহ।
এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) আনন্দ কুমার বলেছেন, বিস্ফোরণে অন্তত ৪০-৫০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ সুপার শিবহরি মীনা আবার বলেছেন, প্রাথমিক খবর অনুযায়ী, বিস্ফোরণে ৫০-৬০ জন আহত হয়েছেন। রাতে উত্তরপ্রদেশের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি (স্বরাষ্ট্র) অরবিন্দ কুমার জানান, আহতের সংখ্যা ৯০-১০০।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিস্ফোরণের পরেই ঘটনাস্থলে দ্রুত যত বেশি সম্ভব অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। অতিরিক্ত জেলাশাসক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে আছেন। তাঁরা উদ্ধার ও ত্রাণকার্য পরিচালনা করছেন। দ্রুত উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের একটি দল লখনউ থেকে ঘটনাস্থলে গিয়েছে।