এক্সপ্লোর
Advertisement
২৬ নার্স ও তিন চিকিত্সকের করোনা টেস্ট পজিটিভ, হাসপাতালকেই ‘কনটেনমেন্ট জোন’ ঘোষণা করল মুম্বই পুর কর্তৃপক্ষ
এক সপ্তাহের মধ্যে ২৬ নার্স ও ৩ চিকিত্সকের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার পর মুম্বইয়ের ওখার্ড হাসপাতালকে ‘সংক্রামক এলাকা’ বা ‘কনটেনমেন্ট জোন’ ঘোষণা করল বৃহন্মমুম্বই পুরসভা (বিএমসি)। হাসপাতালে আসা-যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সমস্ত রোগীদের টেস্ট দুবার নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চলবে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন এক পুর আধিকারিক।
মুম্বই: এক সপ্তাহের মধ্যে ২৬ নার্স ও ৩ চিকিত্সকের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার পর মুম্বইয়ের ওখার্ড হাসপাতালকে ‘সংক্রামক এলাকা’ বা ‘কনটেনমেন্ট জোন’ ঘোষণা করল বৃহন্মমুম্বই পুরসভা (বিএমসি)। হাসপাতালে আসা-যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সমস্ত রোগীদের টেস্ট দুবার নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চলবে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন এক পুর আধিকারিক।
অতিরিক্ত পুর কমিশনার সুরেশ কাকানি বলেছেন, একটি চিকিত্সা কেন্দ্র থেকে এতগুলি সংক্রমণের ঘটনা খুবই দু্র্ভাগ্যজনক। তাদের আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত ছিল। একটি হাসপাতালের মধ্যে এতজনের মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ল তার তদন্তের জন্য কার্যনির্বাহী স্বাস্থ্য আধিকারিকের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
যে নার্সদের কোভিড-১৯ টেস্ট পজিটিভ হয়েছে, তাঁদের ভিলে পার্লের কোয়ার্টার থেকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। দুই আক্রান্ত চিকিত্সককে সেভেনহিলসে এবং অন্য একজনকে মাহিমের এসএল রাহেজা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২৭০ জনের বেশি হাসপাতালের কর্মী ও কিছু রোগীর লালরসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, হাসপাতালের ক্যান্টিন খোলা রয়েছে এবং সেখান থেকে কর্মী ও রোগীদের খাবার যোগানো হবে। তবে গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুই কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়েছে। অগ্রিপাডা থানার সিনিয়র ইন্সপেক্টর সাভালারাম আগাওয়ানে এ কথা জানিয়েছেন।
কেন ও কীভাবে এতজন কর্মীর টেস্ট পজিটিভ হল, তা নিয়ে হাসপাতাস কর্তৃপক্ষের কোনও মন্তব্য জানা যায়নি। এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ওপিডি ও এমার্জেন্সি পরিষেবা বন্ধ। এখন কোনও রোগী ভর্তি হবে না।
এর বেশি তিনি আর কোনও মন্তব্য করেননি বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
৭০ বছর বয়সী এক হৃপিন্ডের সমস্যায় আক্রান্ত রোগী সংক্রমণের উত্স বলে জানা গেছে। ওই ব্যক্তির টেস্ট গত ২৭ মার্চ পজিটিভ হয়েছিল। এরপরই ওই রোগীর শুশ্রুষায় নিযুক্ত দুই নার্সের টেস্ট পজিটিভ হয়।
হাসপাতালের কর্মীদের অভিযোগ, আক্রান্ত নার্সের রুমমেট ও সহকর্মীদের কোয়ারেন্টিন করতে ম্যানেজমেন্টের ব্যর্থতার কারণে সংক্রমণ এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।
ইউনাইটেড নার্সের অ্যাসোসিয়েশন বলেছেন, লক্ষ্মণ দেখা না দেওয়া পর্যন্ত তাঁদের শিফ্ট থেকে সরানো হয়নি বা টেস্ট ও করা হয়নি। অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, সন্দেহভাজন কোভিড-১৯ রোগীর শুশ্রুষায় নিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও পিপিই দেওয়া হয়নি।
যদিও হাসপাতাল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
খবর
জেলার
জেলার
Advertisement