এক্সপ্লোর
Advertisement
বাবরি ধ্বংস, গোধরাকাণ্ডই মুসলিম যুবকদের আল কায়দায় যোগদানে অনুপ্রাণিত করেছে:পুলিশ
নয়াদিল্লি: ভারতের মাটিতে আল কায়দায় নিয়োগ করার অভিযোগে ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ দিল্লি পুলিশের। এই মামলায় চার্জশিট পেশের সময় দিল্লি পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, ১৯৯২ সালের বাবরি মসজিদ ধ্বংস এবং ২০০২-এর গোধরাকাণ্ডই মুসলিম যুব সমাজকে আল কায়দায় যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করেছে।
জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত ১৭ জন যুবকের বিরুদ্ধে এক চার্জশিট পেশের সময় দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল দাবি করে, জেহাদের উদ্দেশ্যে মুসলিম তরুণরা পাকিস্তান চলে গিয়েছে। সেখানে গিয়ে তারা জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ সঈদ এবং লস্কর-ই-তৈবা প্রধান জাকি-উর-রহমান লকভির সঙ্গে দেখা করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের অন্য নেতাদের সঙ্গেও তারা দেখা করে।
পুলিশের দাবি, মসজিদে জেহাদ সংক্রান্ত ভাষণ শোনার সময় এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সঈদ আনজার শাহ, মহম্মদ ওমর নামে এক ব্যক্তির সান্নিধ্যে আসে। মসজিদে জেহাদ নিয়ে ভাষণ দিতে গিয়ে মহম্মদ ওমর ভারতে মুসলিমরা কতটা অত্যাচারিত সেকথার উল্লেখ একাধিকবার করেছে বলে জানা গিয়েছে তদন্তে। ওই সমস্ত ভাষণে বাবরি মসজিদ ধ্বংস এবং গোধরাকাণ্ডের কথাও উল্লেখ করা হয়। এই সমস্ত ভাষণ শুনে উদ্বুদ্ধ হয়ে মুসলিম যুবসম্প্রদায় পাকিস্তানে প্রশিক্ষণের জন্যে চলে যায় বলে চার্জশিটে দাবি করেছে পুলিশ।
পুলিশ চার্জশিটে আরও দাবি করেছে, তাদের জালে গ্রেফতার হওয়া আব্দুল রহমান নামের এক জঙ্গি ভারতে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের নেতাদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তারমধ্যে জইশ-ই-মহম্মদের বহু নেতাও রয়েছে, যেমন সেলিম, মনসুর, সাজ্জাদ। তবে ২০০১ সালে উত্তরপ্রদেশ শ্যুটআউটে তাদের মৃত্যু হয়। এরা প্রত্যেকেই বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বদলা নিতে ভারতে এসেছিল। তাদের পরিকল্পনা ছিল রাম মন্দির ধ্বংসের, দাবি পুলিশের।
প্রসঙ্গত, আল কায়দায় নিয়োগ করার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ১৭ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১২ জনই পলাতক।
১৭ জন অভিযুক্তের মধ্যে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ ইউএপিএ আইনে মামলা দায়ের করেছে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
খবর
ব্যবসা-বাণিজ্যের
ব্যবসা-বাণিজ্যের
জেলার
Advertisement