‘সংসদীয়’ ইন্টার্নশিপ, ‘সংসদীয়’ ইন্টার্নশিপ, বিজেপি সাংসদদের সহায়তায় আইআইএম সহ শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের ৪০ মেধাবী শিক্ষার্থী
এই প্রথম, দেশের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মেধাবী ও প্রতিভাবান শিক্ষার্থীরা সুযোগ পাচ্ছেন ‘সংসদীয়’ ইন্টার্নশিপ করার।
নয়াদিল্লি: এই প্রথম, দেশের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মেধাবী ও প্রতিভাবান শিক্ষার্থীরা সুযোগ পাচ্ছেন ‘সংসদীয়’ ইন্টার্নশিপ করার। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহলাদ জোশীর তত্ত্বাবধানে ‘সংসদীয়’ ইন্টার্নশিপ কর্মসূচির আয়োজন করেছে কেন্দ্র। যেখানে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সাইন্স, ন্যাশনাল ল স্কুল অব ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটি সহ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সাইন্সের মোট ৪০ জন শিক্ষার্থীকে লোকসভার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া হল। এই সমস্ত শিক্ষার্থীদের কাজই হবে বিজেপি সাংসদদেরকে লোকসভার আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য সর্বতোভাবে তৈরি করে দেওয়া।
লোকসভায় বিজেপি-র সংসদীয় সেক্রেটারি বালাসুব্রহ্মনম কামারসু এই সকল শিক্ষার্থীদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তাঁর মতে, এদের অনেকেই নানান বিষয় নিয়ে গবেষণা করেছেন, অনেক বিষয়ে বিশদে জ্ঞান রয়েছে তাঁদের, শিক্ষার্থীদের ইনপুট সংসদ সদস্যদের বক্তব্য এবং লোকসভার আলোচনাকে আরও সমৃদ্ধ করবে। একই সঙ্গে যারা আমলার চাকরির জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছে, এই ইন্টার্নশিপ তাঁদের সাহয্য করবে বলেও দাবি বালাসুব্রহ্মনম কামারসুর।
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহলাদ জোশী ‘সংসদীয়’ নামের যে ইন্টার্নশিপ কর্মসূচির আয়োজন করেছেন, সেখানে সারা দেশ থেকে ৬০০টি আবেদন এসেছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তো বটেই অনেক পেশাদারও এই ইন্টার্নশিপের জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে এই আবেদন পত্র থেকে শ্রেষ্ঠ ৪০ জনকেই ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সভাপতি এস সুব্বাইয়া যদিও বলছেন এটি আসলে থিঙ্ক ইন্ডিয়ার একটি পদক্ষেপ। ‘জাতীয়তাবোধের উন্মেষ’, ‘স্বদেশ সংস্কার’ ইত্যাদি বিষয়ের সঙ্গে যুব সম্প্রদায়ের আত্মিক যোগ তৈরি করতেই এই ধরনের অভিনব পন্থা নেওয়া হয়েছে। থিঙ্ক ইন্ডিয়া, একটি সক্রিয় মঞ্চও, যেখানে গবেষক ও পেশাদার ও শিক্ষার্থীরা জাতীয় ইস্যুতে বিতর্কে সামিল হতে পারবে, নিজেদের ভাবনা চিন্তা তুলে ধরতে পারবে এবং সমস্যা সমাধানের পথনির্দেশ ও দিতে পারবে।