শাস্তি দেওয়ার আগে কেন্দ্রের উচিত দেশবাসীর মনে জাতীয় সঙ্গীতের মাহাত্ম্য তুলে ধরা: কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন
নয়াদিল্লি: জাতীয় সঙ্গীত চলার সময় না দাঁড়ানোয় মানুষকে শাস্তি দেওয়ার আগে কেন্দ্রের উচিত এর মাহাত্ম্য সম্পর্কে দেশবাসীকে অবহিত করা। এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন বা সিআইসি।
বিতর্কের সুত্রপাত একটি প্রশ্নকে ঘিরে। ‘জন গণ মন’ যে জাতীয় সঙ্গীত এবং ‘বন্দেমাতরম’ যে জাতীয় গান – তার স্বপক্ষে কোনও নথি আছে কি না, তা পেশ করতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের (পিএমও) কাছে তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় প্রশ্ন তোলেন হরিন্দর ঢিংরা নামে জনৈক এক ব্যক্তি।
যদিও, পিএমও থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই বিষয়টি তাদের অধীনস্থ নয়। এই প্রসঙ্গে এদিন তথ্য কমিশনার শ্রীধর আচার্যুলু জানান, ভাবতেই অবাক লাগে, যে এমন উচ্চ পর্যায়ের এক সরকারি দফতর কীভাবে সামান্য বুদ্ধির ব্যবহার না করে কাঁধ থেকে দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলতে তৎপর হয়ে উঠেছে।
তিনি যোগ করেন, এই কাণ্ডজ্ঞানহীনতার জন্যই মানুষের মনে সন্দেহ জন্মায় যে আদৌ সরকারের কাছে এই সংক্রান্ত কোনও নথি আছে কি না। এই প্রসঙ্গে, অতীতে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে উল্লেখ করে শ্রীধর জানান, জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান বজায় রাখার জন্য সরকারের উচিত সবরকম ব্যবস্থাগ্রহণ করা।
তিনি যোগ করেন, জন গণ মন-কে কেন জাতীয় সঙ্গীত নির্বাচিত করা হয়েছে, তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং যথাযথ ব্যাখ্যা মানুষকে জানানো। তাঁর মতে, জাতীয় সঙ্গীতের সময় কেউ না দাঁড়ালে তাঁকে শাস্তি দেওয়ার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল এর মাহাত্ম্য সম্পর্কে মানুষকে অবগত করা।