তফশিলি জাতি-উপজাতিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দায়বদ্ধ সরকার: রাজনাথ
নয়াদিল্লি: তফশিলি জাতি, উপজাতি সহ পিছিয়ে পড়া শ্রেণির কল্যাণ নিশ্চিত করতে এবং তাদের আইনি সুরক্ষা প্রদান করতে দায়বদ্ধ কেন্দ্র। এমনটাই জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ভুয়ো ও মিথ্যে প্রচারের ফাঁদে না পড়ার জন্য মানুষের কাছে আবেদন করেন তিনি। একইসঙ্গে, রাজনৈতিক দলগুলির উদ্দেশেও তাঁর আহ্বান, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখতে।
এদিন টুইটারে রাজনাথ লেখেন, তফশিলি জাতি/উপজাতির ওপর নির্যাতন প্রতিরোধ আইন যাতে বর্তমান আকারেই থাকে, তার জন্য ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে কেন্দ্র। তিনি জানান, এই আইনকে কেন্দ্র করে এদিন দেশের কয়েকটি জায়গায় সংঘর্ষের ফলে কিছু মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, তাতে তিনি ব্যথিত।
https://twitter.com/rajnathsingh/status/980783732578807809রাজনাথ বলেন, আমি রাজনৈতিক দলগুলির কাছে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান করছি। আমি একইসঙ্গে মানুষের কাছে আবেদন করছি, কিছু দুরভিসন্ধির ছড়ানো ভুয়ো ও মিথ্যে অপপ্রচারের শিকার না হতে। তিনি জানান, দেশের সবকটি রাজ্যকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এর জন্য প্রয়োজনে যে কোনও ধরনের কেন্দ্রীয় সাহায্যও করা হবে বলে আশ্বাস দেন রাজনাথ।
https://twitter.com/rajnathsingh/status/980783736290791424রাজনাথ জানান, এদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে সংঘর্ষ হয়েছে, তার ওপর নজর রেখেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখা হয়েছে। রাজ্যগুলির সহায়তা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই, উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে ৮০০ অ্যান্টি-রায়ট পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পঞ্জাবও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য চেয়েছে।
https://twitter.com/rajnathsingh/status/980783740002717696প্রসঙ্গত, ২০ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের ওপর অত্যাচার বন্ধের যে আইন রয়েছে, তা সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। নিয়োগ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এই আইনে কোনও সরকারি কর্মীকে গ্রেফতার করা যাবে না। প্রতিবাদে এদিন ভারত বনধের ডাক দেয় দলিত সংগঠনগুলি।
আর সেই বনধ ও আন্দোলনকে ঘিরেই অশান্তির আগুন জ্বলল দেশজুড়ে। দেশের ১৪টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ল অশান্তি। অশান্তি মূলত ছড়িয়ে পড়ে বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে। মধ্যপ্রদেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। রাজস্থানে একজনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে একজন এবং বিহারেও একজনের মৃত্যু হয়েছে।