এক্সপ্লোর
গুলবার্গ সোসাইটি হত্যাকাণ্ড: দোষী ২৪, বেকসুর খালাস ৩৬

আমদাবাদ: ১৪ বছর পর গুজরাতের গুলবর্গ সোসাইটি হত্যাকাণ্ড মামলার রায় ঘোষণা হল। গোধরা-পরবর্তী এই হামলার ঘটনায় ৬৯ জনকে খুন করা হয়েছিল। তার মধ্যে ছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ এহেসান জাফরিও। এই মামলায় ৬৬ জন অভিযুক্তের মধ্যে ২৪ জনকে আজ দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। তথ্য প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে গেলেন অভিযুক্ত বিজেপি কাউন্সিলর। দোষী সাব্যস্ত হলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা। ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। এই দিনই গুজরাতের আমদাবাদের অভিজাত গুলবর্গ সোসাইটিতে প্রায় ৪০০জন উন্মত্ত মানুষ খুন করেছিল ৬৯ জনকে! জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল তাদের। মৃতদের মধ্যে ছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন বর্ষীয়ান সাংসদ এহেসান জাফরিও। ১৪ বছর বাদে সেই মামলায় রায় ঘোষণা করল বিশেষ আদালত। আদালত জানিয়েছে, দোষীদের মধ্যে ১১ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলায় প্রত্যক্ষ-যোগের প্রমাণ মিলেছে। ৬৬জন অভিযুক্তের মধ্যে ২৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলেন বিচারক। এরমধ্যে ১১ জনকে খুনের দায়ে এবং ১৩ জনকে অন্য কারণে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। দোষী সাব্যস্তদের মধ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা অতুল বৈদ্য রয়েছেন। বেকসুর খালাসের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির কাউন্সিলর বিপিন পটেল। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, খুনের মামলায় ১১জনকে দোষী সাব্যস্ত করলেও, ফৌজদারি ষড়যন্ত্রের কোনও তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে আদালত। ৬ জুন শাস্তি ঘোষণা হবে। কিন্তু, গত ১৪ বছর ধরে যে ব্যক্তি এই মামলা চালিয়ে যাচ্ছেন, যাঁর স্বামীকে সেদিন পুড়িয়ে মারা হয়েছিল, সেই প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ এহেসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরি এই রায়ে মোটেও খুশি নন। তাঁর কথায়, এতো অর্ধেক বিচার। ২০০২-এর ২৭ ফেব্রুয়ারি গোধরার কাছে সবরমতী এক্সপ্রেসের এস-৬ কামরায় ৫৮ জনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনার পরই গুলবর্গ সোসাইটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মৃতদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ এহেসান জাফরিও। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, যখন দুষ্কৃতীরা আগুন ধরাচ্ছিল, তখন গুজরাতের তৎকালীন মোদী সরকারের কাছে সাহায্য চাওয়া হলেও, পাওয়া যায়নি। যদিও, অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও পড়ুন






















