ডাক্তারদের কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার অনুরোধ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর, ব্যবস্থা নিতে বললেন মুখ্যমন্ত্রীকেও
তিন বছরের শিশুর মৃত্যু। ভেন্টিলেশন না পেয়ে প্রাণ যায় নবজাতকের।
নয়াদিল্লি: একশো ঘণ্টা হয়ে গেল, স্বাস্থ্য পরিষেবার অচলাবস্থা মেটার কোনও নামগন্ধই নেই। উল্টে এসএসকেএম হাসপাতালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারির পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। বৃহস্পতিবার এসএসকেএম-এ গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই ডাক্তারদের দুপুর দুটোর মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলেন তিনি। না হলে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের এই কড়া বার্তাই আগুনে ঘি-এর কাজ করে। কর্মবিরতি থেকে কাজে যোগ দেওয়া তো দূর, উল্টে কলকাতা সহ জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে ইস্তফার হিড়িক পড়ে যায়। এনআরএস, এসএসকেএম, আরজিকর সহ একাধিক হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধানরা পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। এনআরএস কাণ্ডের আঁচ লাগে জেলা হাসপাতালগুলোতেও। এরই মধ্যে একটি তিন বছরের শিশুর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। ভেন্টিলেশন না পেয়ে প্রাণ যায় নবজাতকের।
এমন অচল অবস্থা কাটাতে এবার সরাসরি মাঠে নামল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন আজ সংবাদমাধ্যম মারফৎ আন্দোলনরত ডাক্তারদের কাছে আবেদন করেন, তাঁরা যেন কর্মবিরতি তুলে নিয়ে কাজে যোগ দেন। প্রতীকী প্রতিবাদ করলেও কোনও ভাবেই যেন নাগরিক পরিষেবা ব্যহত না হয়, সেই অনুরোধই করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “সংবেদনশীলতার সঙ্গে গোটা বিষয়টিকে দেখুন, তাহলে দেশের মানুষকে আর চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হতে হবে না। আমি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করছি, দয়া করে এই পরিস্থিতিকে নিজের প্রেস্টিজ ইস্যু বানাবেন না ।”
এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে একটি স্মারকলিপি তুলে দেন এইমসের চিকিৎসকরা। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ডাক্তাররা যে বেনজির আন্দোলনে সামিল হয়েছেন, সেই বিষয়ে মন্ত্রীকে জানান তাঁরা। সব শোনার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, ডাক্তারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে, এটা সরকারের দায়িত্ব। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখবেন এবং প্রয়োজনে ফোনে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন।