মিথ্যে গণধর্ষণের মামলা দায়ের পুণের মহিলার
পুণে: দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যে ধর্ষণের মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনার নেপথ্যে মূল কুচক্রীরা পলাতক।
খবরে প্রকাশ, গত শনিবার এক মহিলা পুণে পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন, তাঁকে ২ ব্যক্তি একটি চলন্ত গাড়ির মধ্যে গণধর্ষণ করেছে। মহিলার দাবি, তিনি নারায়ণপুরের একটি ধর্মীয় স্থান দর্শন করে ফিরছিলেন। পথে, উরুলি কাঞ্চন-জেজুরি রুটে শিন্তাওয়ানে ঘাটের কাছে একটি ফর্চুনার গাড়িতে তাঁকে অভিযুক্তরা ধর্ষণ করে।
শনিবারই তদন্তে নামে পুণে রুরাল পুলিশ। সেখানেই সত্যি ধরা পড়ে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ পাখালে জানান, অভিযোগকারিণীর দেওয়া গাড়ির নম্বর দেখে প্রথমে মহিলার কথামতো ২ অভিযুক্ত প্রকাশ চহ্বন ও অজয় নাভালেকে ডেকে জেরা করা হয়।
মহিলা জানিয়েছিলেন, ঘটনার পর তিনি দুই বাইক আরোহীর সহায়তায় লোনি কালভোর পুলিশ স্টেশনে পৌঁছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পুলিশ ওই ২ বাইক আরোহীকেও ডেকে জেরা করে। কিন্তু, মহিলার বিভিন্ন সময়ে দেওয়া বক্তব্যের মধ্যে বিস্তর অসংলগ্নতা নজরে আসে পুলিশের।
রহস্যভেদ করতে অবশ্য বেশি সময় লাগেনি পুলিশের। মহিলাকে জেরা করতেই বেরিয়ে আসে সত্য। জানা যায়, ওই ২ যুবকের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত শত্রুতা মেটানোর জন্যই তাঁদের ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আর এই গোটা পরিকল্পনার নেপথ্যে রয়েছে দাদা গহ্বন ও সন্দীপ জগদালে নামে ২ ব্যক্তি।
মহিলা তাঁর বয়স ৩০ জানিয়েছিলেন। কিন্তু, পুলিশ জানতে পারে, তাঁর বয়স ৪০। পেশায় তিনি সবজি-বিক্রেতা। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছেলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে।
২ মূল চক্রী পলাতক। পুলিশ জানিয়েছে, অতীতেও তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রকাশ ও অজয়কে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।