টেলিগ্রাম অ্যাপে সিরিয়ায় হ্যান্ডলারদের সঙ্গে কথা! নজরদারি চালিয়েই আইএস মডিউলের পর্দা-ফাঁস গোয়েন্দাদের
নয়াদিল্লি: মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের গ্রেফতার করা থেকে শুরু করে লখনউয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জঙ্গির এনকাউন্টার এবং সর্বোপরি ভারতে আইএস মডিউলের পর্দা-ফাঁস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে চার রাজ্যের পুলিশের তৎপরতা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, এমাসের শেষেই উত্তরপ্রদেশে আরও বড় হামলার ছক কষছিল জঙ্গিরা। তার আগে মধ্যপ্রদেশের শাজাপুরে ট্রেনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আদতে হাত পাকাচ্ছিল তারা। চার রাজ্যের পুলিশের তৎপরতায় একে একে জালে ধরা পড়ে গেল আইএস সন্দেহভাজন জঙ্গিরা। তদন্তকারীদের দাবি, ভারতে আইএস মডিউলের খোঁজ সবার আগে পায় কেরল পুলিশ। ভারতে আইএস মডিউলের খোঁজ সবার আগে পায় কেরল পুলিশ। ফোনে আড়ি পেতে তারা জানতে পারে, উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশের কয়েকজন যুবক নিয়মিত টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে সিরিয়ায় হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। কেরল পুলিশ এই তথ্য দেয় তেলঙ্গানা পুলিশকে। কারণ, তেলেঙ্গানার মতো রাজ্য থেকে একাধিক যুবক ইতিমধ্যেই সিরিয়ায় গিয়ে আইএস-এর কাছ থেকে ট্রেনিং নিয়েছে বলে খবর। ফলে, ২০১১ সালে ভারতে আইএসআইএস মডিউলের হদিশ মেলার পর থেকেই তারা এনিয়ে তদন্ত চালাচ্ছিল। কেরল পুলিশের দেওয়া ফোন নম্বরগুলি ট্র্যাক করতে শুরু করে তেলঙ্গানা পুলিশ। জানা যায়, সেই ফোন নম্বরের শেষ লোকেশন মধ্যপ্রদেশে। পুলিশ যখন মধ্যপ্রদেশে সন্দেহভাজনদের অবস্থান চিহ্নিত করার কাজ চালাচ্ছে, তখনই মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ মধ্যপ্রদেশের শাজাপুরে জাবদি স্টেশনের কাছে ভোপাল-উজ্জয়িনী প্যাসেঞ্জারের জেনারেল কামরায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে দুপুর ১.৪০ নাগাদ মধ্যপ্রদেশের পিপরিয়া থেকে ৩ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জেরা করেই জানা যায়, লখনউয়ের ঠাকুরগঞ্জে আইএসের এক জঙ্গি ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে। খবর পাওয়ার পরই দুপুর সাড়ে তিনটে থেকে সেখানে শুরু হয় অপারেশন। বিকেল সোয়া পাঁচটা নাগাদ কানপুর ও এটাওয়ায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় আরও তিন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে। পুলিশ সূত্রে দাবি, তিন আইএস জঙ্গি এখনও ফেরার। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।