করোনা আবহে দুঃস্থদের জন্য 'রাইস এটিএম' এমবিএ স্নাতকের, চাল কিনেছেন নিজের পিএফের ৩ লাখ টাকায়
টাকা নয়, এটিএম থেকে বেরোচ্ছে চাল! নিরন্ন মানুষের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে 'রাইস এটিএম'। কোভিড পরিস্থিতিতে অভিনব উদ্যোগ এক বেসরকারি সংস্থার কর্মীর। রামু দোসাপাটি নাম তাঁর। রামুর তৈরি হায়দরাবাদের এলবি নগরের এই এটিএম থেকে চাল পেয়ে ইতিমধ্যেই উপকৃত হয়েছেন ১২ হাজারেও বেশি মানুষ।
কোভিড পরিস্থিতিতে জীবিকা হারিয়েছেন অনেক মানুষ। অনেকেরই দিন কাটছে অনাহারে। এই পরিস্থিতিতে এমন এক মহান, অভিনব উদ্যোগ নেওয়া এমবিএ স্নাতক রামু বলছেন, আমি বিশ্বাস করি কোনও মানুষের অভুক্ত থাকা উচিত নয়। তাই এই প্রয়াস। যাদের অভাব রয়েছে, তাঁরা এই এটিএম থেকে চাল নিয়ে যেতে পারেন। একবার চাল নিলে তা ৫ দিনের জন্য যথেষ্ট। গত ২৫ মার্চ থেকে শুরু হয়েছিল এই উদ্যোগ। দৈনিক প্রায় ১০০ মানুষ চাল পাচ্ছেন। এমনকী বহু কোভিড আক্রান্ত লোকের বাড়িতে নিজে চাল পৌঁছে দিচ্ছেন রামু।
রামু জানাচ্ছেন, ২০০৬ সালে একটি দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পান তিনি। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, নতুন জীবন পেলে মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন। সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত। আরও একটি ঘটনায় তিনি বিপন্ন মানুষের সেবায় সামিল হওয়ার অনুপ্রেরণা পান। সেটি হল, তিনি দেখেন, এক পাহারাদারের পরিবার পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে পেট ভরে খেতে পারেন, সেজন্য ২০০০ টাকা দিয়ে তাঁদের মুরগীর মাংস কিনে দিয়েছে। বলেন, আমার মনে হল, ওরা পারলে আমি কেন গরিব, অভাবী মানুষের জন্য কিছু করতে পারব না! নিজের প্রভিডেন্ট ফান্ডের ৩ লাখ সহ ৪ লাখ টাকায় চাল কেনেন। তাঁকে দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন আরও কিছু মানুষ। রাইস এটিএম থেকে এক ইংরেজি অধ্যাপকও চাল পেয়েছেন, বলেছেন, গত ৬ মাস বেতন পাইনি। চালের এটিএমের খবর পেয়ে ঘরের জন্য তুলে নিলাম।