সন্ত্রাসদমন সহযোগিতা বাড়াতে চুক্তি স্বাক্ষর ভারত, অস্ট্রেলিয়ার

নয়াদিল্লি: সন্ত্রাসদমন নিয়ে একসুর ভারত-অস্ট্রেলিয়ার। অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের ভারত সফরে ৬টি চু্ক্তি স্বাক্ষর করল দুই দেশ। যার মধ্যে অন্যতম হল সন্ত্রাসদমনে সহযোগিতা। যদিও, বাণিজ্যিক সহযোগিতা নিয়ে খুব একটা অগ্রগতি হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
এদিনের বৈঠকে প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, বিদ্যুৎ ও শিক্ষা ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও প্রসারিত করার ওপর জোর দেন দুই রাষ্ট্রনেতা। ভারতকে ইউরেনিয়াম সরবরাহ করার জন্য অস্ট্রেলিয়ার সংসদে যে আইন পাশ করেছে, তার জন্য টার্নবুলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মোদী। অন্যদিকে, অজি প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি যত শীঘ্র সম্ভব তা ভারতে সরবরাহ করার ব্যবস্থা করবেন।
উভয়পক্ষই সহমত যে, ভারতে যত তাড়াতাড়ি বাণিজ্যিকস্তরে ইউরেনিয়াম রফতানি করবে অস্ট্রেলিয়া, তত দ্রুত ভারতের জ্বালানির চাহিদা পূরণ হবে। এছাড়া, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা, অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় ছাত্রদের যাত্রা নিয়েও আলোচনা হয় মোদী-টার্নবুলের মধ্যে।
বৈঠকে স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে এনএসজি ইস্যু। টার্নবুল জানান, পরমাণু সরবরাহ গোষ্ঠীতে ভারতের অন্তর্ভুক্তিকে সমর্থন করেন তিনি। পাশাপাশি, তিনি এ-ও জানান, অস্ট্রেলিয়া গ্রুপ ও ওয়াসেনার অ্যারেঞ্জমেন্ট গোষ্ঠীতেও ভারতকে স্বাগত জানাবে অস্ট্রেলিয়া।
সন্ত্রাস প্রসঙ্গেও এদিন দুই নেতার গলায় ছিল এক সুর। উভয়পক্ষই এদিন কঠোর হাতে সন্ত্রাসদমন করার কথা বলেন। মোদী ও টার্নবুল জানান, শুধুমাত্র জঙ্গি বা জঙ্গি সংগঠনগুলিই নয়, তাদের নেটওয়ার্ক, মদতদাতা এবং আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
বৈঠকের পর যে যৌথ বিবৃতি পাঠ করা হয়, সেখানে বলা হয়েছে, সন্ত্রাস ও মৌলবাদের প্রসার হওয়া কঠোর হাতে দমন করতে হবে। এর জন্য যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে। দুদেশের আইনরক্ষক, গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মধ্যে সুসংহত সহযোগিতা এবং সমন্বয় গড়ে তুলতে হবে।
তবে, অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে এদিন খুব একটা অগ্রগতি হয়নি। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে প্রস্তাবিত মুক্ত বাণিজ্য নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি এদিনের বৈঠকে। এমনকী, কোনও সময়সীমাও নির্দিষ্ট হয়নি। তবে, এই ক্ষেত্রে আরও বিস্তারিত আলোচনা চালাতে সংশ্লিষ্ট কর্তাদের নির্দেশ দেন দুই রাষ্ট্রনেতা।






















