জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার, ‘ভারত প্রকৃত অর্থে স্বাধীন হল’, সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদে মন্তব্য শিবসেনা প্রধানের
উদ্ধবের পরিষ্কার বার্তা, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেন কোনওভাবেই নাক না গলায়।
মুম্বই: এখন থেকে জম্মু ও কাশ্মীর আর বিশেষ মর্যাদাপ্রাপ্ত রাজ্য নয়। সংসদে নয়া বিল পাস করিয়ে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করল বিজেপি। একই সঙ্গে নতুন বিল (জম্মু ও কাশ্মীর রিঅর্গানাইজেশন বিল ২০১৯) এনে জম্মু- কাশ্মীর ও লাদাখকে ২টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার দিকে পা বাড়াল শাসক দল। ভূ-স্বর্গের ইতিহাসে এমন মোড় ঘোরানো সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাল বিজেপি শরিক শিবসেনা।
বাল ঠাকরে প্রতিষ্ঠিত শিবসেনার বর্তমান সুপ্রিম উদ্ধব ঠাকরে সোমবার সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, “আমি খুশি। এতদিন পর স্বপ্ন সত্যি হল। আজ আমার দেশ প্রকৃত অর্থেই স্বাধীন হল।” এখানেই শেষ নয়। আরও একধাপ এগিয়ে প্রয়াত শিবসেনা প্রধান বাল ঠাকরের ছেলে উদ্ধব আরও বলেন, সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার বাল ঠাকরে ও অটল বিহারি বাজপেয়ীর অধরা স্বপ্ন পূরণ করল এই সরকার। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে দু হাত তুলে সমর্থন করছেন তাঁরা। শুধু সমর্থনই নয়, বিরোধীদেরও ভারতের সার্বভৌমত্বের স্বার্থে মতাদর্শগত ফারাককে দূরে সরিয়ে রেখে সরকারকে সমর্থনের আর্জি জানিয়েছেন উদ্ধভ ঠাকরে।
Mumbai: Sweets distributed by Shiv Sena Chief Uddhav Thackeray, after resolution revoking Article 370 from J&K was moved by Union Home Minister Amit Shah in Rajya Sabha today. pic.twitter.com/iw2ANe9rRt
— ANI (@ANI) August 5, 2019
এই প্রসঙ্গেই নাম না করে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও একাহাত নিয়েছেন শিবসেনা প্রধান। উদ্ধবের পরিষ্কার বার্তা, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেন কোনওভাবেই নাক না গলায়। তাঁর কথায়, “জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যু ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা আর পাক অধিকৃত অঞ্চলের তকমা শুনতে চাই না। এবার গোটা পাকিস্তান দখলেরই সময় এসে গিয়েছে।” যারা ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির বিরোধিতা করবে, সরকার যেন তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ‘খাতির যত্নে’র বন্দোবস্ত রাখে, পরামর্শ উদ্ধবের।
উল্লেখ্য, সোমবার সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করল কেন্দ্র সরকার। একই সঙ্গে ‘জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল ২০১৯’ এনে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখকে ২টি ভিন্ন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহরা।