কেরলে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা, মুম্বইয়ে ঘরছাড়া লক্ষাধিক, নিখোঁজ বহু, চপার নামিয়ে বন্যা মোকাবিলায় তৎপর প্রশাসন
সরাকারি তথ্য অনুযায়ী এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। ২২ হাজার মানুষকে বন্যা কবলিত স্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিরুবনন্তপুরম/সাংলি: লাগাতার বৃষ্টি, সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিতে বইছে বাতাস। কেরলে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। শুক্রবার সকালেই বন্যায় মৃত্যু হয়েছে একই পরিবারের ৪ সদস্যের। তার মধ্যে ২ শিশুও রয়েছে। সরাকারি তথ্য অনুযায়ী এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। ২২ হাজার মানুষকে বন্যা কবলিত স্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ভারী বর্ষণে ইতিমধ্যেই ব্যাহত হয়েছে রেল পরিষেবা। মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে মভেলি এক্সপ্রেস, রাজধানী এক্সপ্রেস, ধানবাদ এক্সপ্রেসের মতো আরও ট্রেন। রেললাইনে গাছ পড়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে একাধিক ট্রেন রুটও। তিরুবনন্তপুরম, কোল্লাম, আলাপুঝা, কোত্তায়াম, ইদুক্কি, এরনাকুলাম সহ আরও একাধিক জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছি ভারতীয় আবহাওয়া দফতর।
কেরল সরকারের রাজস্বমন্ত্রী ই চন্দ্রশেখরন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভোপাল এবং নীলগিরি থেকে ৪জন সেনাকর্মী কেরলে আসছেন, যারা বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং উদ্ধার পক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেবেন। বৃহস্পতিবার রাজ্যের সঙ্কটকালীন পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যেরই বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। শনিবার পর্যন্ত সব জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।রবিবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে কোচি বিমানবন্দরও।
অন্যদিকে মুম্বইয়ের সাংলিতে বন্যা কবলিতদের উদ্ধারের জন্য নামানো হল চপার। পিটিআই প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দু লক্ষেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দক্ষিণ মুম্বইয়ের কোলাপুর ও সাংলি থেকেই সবথেকে বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আধিকারিক অভিজিৎ চৌধুরি।
মুম্বইয়েও কেরলের মতো বন্যায় মৃত্যু হয়েছে একাধিক মানুষের। এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। নিখোঁজ আরও ৪। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছে ১২টি উদ্ধারকারী দল। তৎপর নৌসেনাও।