এক্সপ্লোর
Advertisement
উরি সেনা ছাউনির দুই নজরদারি চৌকির সমন্বয়ের অভাব ছিল, ইঙ্গিত তদন্তে
উরি: উরিতে হামলার ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে সেনা ছাউনির দুটি নজরদারি চৌকির মধ্যে সমন্বয়ের অভাব সহ একাধিক ত্রুটি-বিচ্যূতির কথা উঠে এসেছে। এরইমধ্যে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) ঘটনাস্থল থেকে সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহের পাশাপাশি প্রাপ্ত তথ্য নথিভুক্তির কাজ চালাচ্ছে।
আধিকারিক সূত্রে খবর, উরির সেনা ব্রিগেডের সদরদফতর চত্বরের সর্বত্র উপযুক্ত কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে ঘেরা ছিল না বলে তদন্তকারীরা দেখতে পেয়েছেন।
পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে সীমান্ত পেরিয়ে চার জঙ্গির হাজি পীর পাস দিয়ে উরিতে ঢুকেছিল বলে তদন্তে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বরের রাত ও ১৭ সেপ্টেম্বরের ভোরের মধ্যে হামলা চালানোর আগে জঙ্গিরা সুখদার গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের। ওই গ্রাম থেকে সমগ্র সেনা ছাউনি এবং সেখানকার কর্মীদের গতিবিধি স্পষ্ট লক্ষ্য করা যায়। হামলার আগে এরই সুযোগ নিয়েছিল জঙ্গিরা।
সেনা ছাউনির চারপাশে প্রচুর লম্বা ঘাস ও ঝোপঝাড় রয়েছে। সেজন্যই নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ জঙ্গিরা এড়িয়ে যেতে পেরেছিল বলে তদন্তে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এই ঘাস ও জঙ্গলকে আড়াল করে কাঁটা তারের বেড়ার দিকে এগিয়েছিল হামলাকারীরা। তারপর তারা কাঁটা তারের বেড়া কেটে সেনা ছাউনি চত্বরে ঢুকে পড়ে।
যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিরাপত্তা বন্দোবস্তর প্রাথমিক শর্তই হল, আশেপাশে ঝোপঝাড় ও লম্বা ঘাসের জঙ্গল কেটে ফেলা। কিন্তু এক্ষেত্রে তা করা হয়নি।
প্রাথমিক তদন্তে সেনা ছাউনি চত্বরের দুটি নজরদারি চৌকির ব্যর্থতার দিকেও আঙুল তোলা হয়েছে। দুটি চৌকির দূরত্ব ১৫০ ফুট। দুটি চৌকির রক্ষীদের চোখেই সেনা ছাউনি চত্বরে হামলাকারীদের ঢুকে পড়াটা ধরা পড়েনি। এজন্য গোয়েন্দাদের অনুমান, সম্ভবত দুটি চৌকির মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ছিল।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
বিজ্ঞান
খবর
Advertisement