প্রচুর নগদ থাকলেই দুর্নীতি, কালো টাকা, ক্যাশলেস লেনদেনে বদলে নেতৃত্ব দিন মানুষই, বললেন মোদী
নয়াদিল্লি: প্রচুর নগদ টাকাই দুর্নীতি, কালো টাকার বড় উত্স, বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি আবেদন করেছেন, কালো টাকা, দুর্নীতি থাকবে না, এমন এক ভারতের জোরদার ভিত্তি তৈরি করতে হলে নগদহীন লেনদেন চাই, ক্যাশলেস লেনদেনের লক্ষ্যে বদলের রাস্তায় নেতৃত্ব দিন সাধারণ মানুষই।
লিঙ্কড ইন ডট কম-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, একবিংশ শতকে দুর্নীতির কোনও স্থান নেই। দুর্নীতি বৃদ্ধির গতি স্লথ করে দেয়, গরিব, নয়া মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্তের স্বপ্ন শেষ করে দেয়। আর প্রচুর নগদ টাকাই দুর্নীতি ও কালো টাকার বড় উত্স। এ ব্যাপারেই কালো টাকা, দুর্নীতি দমন করা হবে বলে দাবি করে গত ৮ নভেম্বরের ৫০০, ১০০০ টাকার নোট বাতিলের 'ঐতিহাসিক' সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গও টেনেছেন মোদী।
তিনি নগদ লেনদেনের পক্ষে নিবন্ধে জোর সওয়াল করে লিখেছেন, আপনাদের সকলকে, বিশেষত, আমাদের তরুণ বন্ধুদের আবেদন করছি, যাতে তাঁরা নগদহীন লেনদেনের দিকে এগতে পরিবর্তনে নেতৃত্ব দেন, অন্যদের উদ্ধুদ্ধ করেন। এর ফলে এমন এক ভারতের শক্ত ভিত তৈরি হবে যেখানে দুর্নীতি ও কালো টাকার কোনও স্থান থাকবে না।
তিনি এও বলেছেন, বর্তমানে মোবাইল ব্যাঙ্কিং, মোবাইল ওয়ালেটের যুগে রয়েছি আমরা। খাবারের অর্ডার দেওয়া, আসবাবপত্র কেনাবেচা, ট্যাক্সি ডাকা, এসব, আরও অনেক কিছুই সম্ভব হতে পারে আপনার মোবাইল থেকে। আমাদের জীবনে গতি, স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিয়েছে প্রযুক্তি।
তাঁর ৮ নভেম্বরের সিদ্ধান্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সামনেও সমান সুযোগ এনে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের অর্থনীতির বদলে মুখ্য ভূমিকায় থাকা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, আজ আমাদের বনিক মহলের সামনে নিজেদের সময়োপযোগী করে তুলে আরও বেশি প্রযুক্তিকে বরণ করার ঐতিহাসিক সুযোগ এসেছে।
মোদীর দাবি, তিনি নোট বাতিলের ঘোষণা করার সময়ই জানতেন যে, ভারতবাসীর অসুুবিধা হবে্। সেইসঙ্গে বলেন, কিন্তু আমি মানুষকে দীর্ঘমেয়াদি লাভের জন্য সাময়িক কষ্ট স্বীকার করতে আবেদন করি। আজ এটা দেখে ভাল লাগছে যে, দেশের বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবে দেশবাসী সাময়িক অসুবিধা সহ্য করছেন।
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, গত কয়েকদিনে উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, পঞ্জাবের শহর, গ্রামাঞ্চলে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে তাঁর। তিনি বলেন, যেখানেই গিয়েছি, মানুষকে প্রশ্ন করেছি, কালো টাকা, দুর্নীতির অবসান হওয়া উচিত কি? গরিব, মধ্যবিত্ত, নয়া-মধ্যবিত্তের কি তাদের প্রাপ্য পাওয়া উচিত? সব জায়গায়ই একটাই উত্তর পেয়েছি, হ্যাঁ।