এক্সপ্লোর
Advertisement
বিজেপির জয়, লাতুর পুরসভা হাতছাড়া কংগ্রেসের
ঔরঙ্গাবাদ: লাতুর পুরসভা কংগ্রেসের হাত থেকে ছিনিয়ে নিল বিজেপি। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত বিলাসরাও দেশমুখের নিজের দুর্গ লাতুরে দশকের পর দশক ধরে পুরসভা চালাচ্ছিল কংগ্রেস। স্বাধীনতার পর থেকে সেখানে কোনওদিন হারেনি তারা।
লাতুরে বিদায়ী ৭০ সদস্যের পুরসভায় কংগ্রেসের ছিল ৪৯টি আসন। একজনও প্রতিনিধি ছিল না বিজেপির। এবার তারাই জিতেছে ৩৬টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছে ৩৩টি আসন। মাত্র একটি আসন ঝুলিতে পুরে খুবই খারাপ পারফরম্যান্স ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি)। মুছে গিয়েছে শিবসেনা, এমআইএম। তবে এবারের পুরভোট ছিল বিলাসরাওয়ের ছেলে বিধায়ক অমিত দেশমুখের অগ্নিপরীক্ষা। তাঁর নেতৃত্বে ভোটে লড়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু তিনি সাফল্য পেলেন না।
৬৬ সদস্যবিশিষ্ট চন্দ্রপুর পুরসভা এতদিন ছিল কংগ্রেস, এনসিপি-র। এবার সেখানে বিজেপি দারুণ ফল করেছে। বিজেপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী সুধীর মুঙ্গাতিওয়ারের নিজের জেলায় বিজেপি পেয়েছে ৩৬টি আসন। কংগ্রেস ও এনসিপি যথাক্রমে ১২ ও ২টি আসন। ২০১২-র পুরভোটে কংগ্রেস পেয়েছিল ২৬টি আসন, বিজেপি ১৮টি ।
পারভানিতে অবশ্য একক বৃহত্তম দল হয়েছে কংগ্রেস। তারা পেয়েছে ৩১টি আসন। পারভানিতে পুরসভা ছিল এনসিপি-র। তারা এবার ১৮টি আসন জিতে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। বিজেপি শক্তি বাড়িয়ে ২ থেকে হয়েছে ৮। শিবসেনা জিতেছে ৬টি আসন।
লাতুরে বিজেপির জয় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফঢ়নবিশের বিরাট সাফল্য হিসাবে দেখা হচ্ছে। প্রচারের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। বিজেপি পুরভোটে জিতলে লাতুর খরামুক্ত হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। এদিন তিনি মন্তব্য করেন, ফের ইতিহাস গড়ল বিজেপি। লাতুর, চন্দ্রপুরের ভোটারদের ধন্যবাদ দিয়ে তিনি ট্যুইট করেছেন, আমরা আরও বেশি খাটব। সুশাসনের মন্ত্র আঁকড়ে থেকে একেবারে শেষ মানুষটিরও সেবার লক্ষ্যে কাজ করে যাব।
গত ফেব্রুয়ারিতে অমরাবতী, পুনের মতো এলাকায় স্থানীয় নির্বাচনেও বিজেপি বড়সড় জয় পেয়েছে। ভোট হওয়া ১০টি পুরসভার মধ্যে আটটিই দখল করেছে তারা।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
খবর
জেলার
জেলার
ক্রিকেট
Advertisement