সত্তরোর্ধ্ব মাকে ধর্ষণ, ৪ বছরের জেল ছেলের
নয়াদিল্লি: জন্মদাত্রী মাকেই ধর্ষণ!
নিজের বৃদ্ধা মায়ের ওপর যৌন লালসা চরিতার্থ করা এবং পাশবিক অত্যাচার চালানোর অপরাধে এক ব্যক্তিকে চার বছরের হাজতবাস দিল দিল্লির একটি নিম্ন আদালত।
জানা গিয়েছে, ২০১২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে, নিজের বৃদ্ধা মাকে বাড়ির সিড়ি থেকে টেনে-হিঁচড়ে নিজের ঘরে নিয়ে ছিটকিনি তুলে তাঁর ওপর পাশবিক অত্যাচার চালায় ছেলে রাজু। ওই ঘটনার জেরে বৃদ্ধার জরায়ুকে অস্ত্রোপচার করে বাদ দিতে হয়।
এদিন অভিযুক্ত ছেলেকে নিজের মায়ের ওপর শারীরিক, যৌন নির্যাতন চালানোর জন্য চার বছরের হাজতবাসের সাজা শোনান অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সঞ্জীব জৈন। মামলার রায় দিতে গিয়ে আদালত বিষয়টিকে অত্যন্ত নিচ কাজ ও অকল্পনীয় অপরাধ বলে উল্লেখ করে। বিচারক বলেন, এটি অত্যন্ত নৈতিক ও শারীরিকভাবেও নিন্দনীয়।
খবরে প্রকাশ, সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধার ওপর অত্যাচার চালানোয় অভিযুক্ত ৪৮ বছরের ছেলের দাবি, সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে এমন মিথ্যে অভিযোগ আনা হচ্ছে। যদিও, সেই দাবি খারিজ করে আদালত জানিয়ে দেয়, কোনও মা নিজের ছেলের বিরুদ্ধে এধরনের মিথ্যে অভিযোগ আনবেন না।
আদালত জানায়, পাঁচ বছর আগে মদ্যপ অবস্থায় ঘৃণ্য ও ন্যক্কারজনক কাজ করেছিল। অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী জানান, এফআইআর দায়ের করতে দেরি হয়েছিল। এই দাবিও খারিজ করে দেয় আদালত। বিচারক জানান, এটা ভুললে চলবে না, অভিযোগকারিণী অভিযুক্তের নিজের মা। তিনি হয়ত পুলিশের কাছে যাওয়ার আগে অনেক ভাবনাচিন্তা করেছেন। এধরনের ঘটনা একজন মহিলার ওপর লজ্জা, মানসিক আঘাত, অস্বস্তি, ঘৃণার অনুভূতি এবং আজীবন মানসিক চাপ বইতে হয়।
বিচারক বলেন, আমাদের সমাজ অত্যন্ত রক্ষণশীল। এধরনের অভিযোগ আনার আগে, একজন মহিলাকে অনেক ভাবনাচিন্তা করতে হয়। তাছাড়া, মিথ্যে অভিযোগ এনে কেউ চান না, নিজের সম্মানহানি করতে। বিচারক যোগ করেন, অভিযুক্ত প্রায়ই নিজের মাকে কটূক্তি করত এবং সর্বোপরি, ধর্ষণের পর সে পালিয়ে যায়।