মেরসাল-বিতর্ক: বিজয় খ্রিস্টান, তাই মোদীকে ঘৃণা করেন, দাবি বিজেপি নেতার
চেন্নাই: ‘মেরসাল’ বিতর্কে ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় নিশানায় তামিলনাড়ুর বিজেপি নেতা এইচ রাজা।
সম্প্রতি, টুইটারে দক্ষিণী অভিনেতা বিজয়ের ভোটার আইডি কার্ড ও সরকারি লেটারহেড পোস্ট করার জন্য বিজেপির জাতীয় সম্পাদককে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ওই পোস্টে রাজা জানান, অভিনেতার পুরো নাম হল সি বিজয় জোসেফ। বিজেপি নেতার দাবি, এই কারণেই অভিনেতা তাঁর সাম্প্রতিক ছবি ‘মেরসাল’-এ গত জুলাই মাসে কার্যকর হওয়া জিএসটি-র বিরুদ্ধে এত মুখর হয়েছেন।
টুইটারে রাজা লেখেন, সত্যিটা তিক্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি তাঁর মনে যে তীব্র ‘ঘৃণা’ রয়েছে, ‘মেরসাল’ ছবির মাধ্যমে তা তুলে ধরেছেন বিজয়। রাজা বলেন, বিজয় হলেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। তাঁর বলা উচিত ছিল, গির্জার আগে হাসপাতাল নির্মাণ করুন। তা না বলে, তিনি বললেন, মন্দিরের আগে হাসপাতাল নির্মাণ করুন। এটা হিন্দুদের উস্কানি দেওয়ার সামিল বলেই মনে করেন বিজেপি নেতা।
‘মেরসাল’ বিতর্ককে ধর্মের রং দেওয়া এবং অভিনেতার ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ্যে আনার অভিযোগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই আক্রমণের মুখে বিজয়। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রধামনন্ত্রীর সঙ্গে বিজয়ের একটি ছবি প্রকাশ করে কয়েকজন সমালোচক বলেছেন, এটা হল বিজেপির দ্বিচারিতা।
গতকালই, বিজয়ের আরেকটি বিতর্কিত মন্তব্যকে হাতিয়ার করে আরেক অভিনেতা তথা তামিল চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিষদের সভাপতি বিজয়-ও বিজেপি নেতার সমালোচনায় মুখর হন। প্রসঙ্গত, রাজা জানিয়েছিলেন, তিনি ছবিটি অনলাইনে দেখেছেন। এর বিরুদ্ধে বিজয় বলেন, জাতীয় দলের এক জাতীয়স্তরের নেতা স্বীকার করছেন যে, তিনি সদ্যমুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি হলে নয়, বেআইনিভাবে অনলাইনে দেখেছেন। কী করে রাজা লজ্জাহীনভাবে পাইরেসিকে সমর্থন করছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিজয়। যদিও, বিজেপি নেতা পরে ব্যাখ্যা করেন, তিনি ছবির একটি অংশ হোয়াটসঅ্যাপে দেখেছেন।
গত সপ্তাহে দীপাবলির সময় মুক্তি পায় ‘মেরসাল’। রাজ্য সভাপতি দাবি তামিলিসাই সৌন্দরাজনের নেতৃত্বে বিজেপি দাবি তোলে, জিএসটি নিয়ে যে সংলাপ রয়েছে ছবিতে, তা বাদ দিতে হবে। শুক্রবার, একই দাবি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পন রাধাকৃষ্ণণ। তিনি জানান, জিএসটি নিয়ে অসত্য তথ্য ছবি থেকে বাদ দিতে হবে।
শনিবারই, ছবির নির্মাতারা মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আশ্বাস দেন, তাঁরা ওই বিতর্কিত জায়গাগুলি বাদ দিতে প্রস্তুত। এমনকী, দেশের অর্থনীতির অন্যতম পরিকাঠামোগত সংস্কার হিসেবেও জিএসটি-র জোর সওয়াল করেন তাঁরা। এদিকে, ছবিতে নতুন করে কাঁচি চালানোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন কমল হাসান ও রজনীকান্ত। ইতিমধ্যেই ছবিটি ১৫০ কোটি টাকার বেশি আয় করে ফেলেছে।