এক্সপ্লোর
Advertisement
মধ্যপ্রদেশ: স্বামীর দেহ রান্নাঘরের স্ল্যাবের নিচে পুঁতে একমাস রান্না করল মহিলা
অন্ধ্রপ্রদেশের অনুপ্পুর জেলায় এক চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সামনে এল। স্বামীকে খুনের পর মৃতদেহ রান্নাঘরের স্ল্যাবের নিচে পুঁতে রাখার অভিযোগ এক মহিলার বিরুদ্ধে। প্রায় একমাস এভাবে মৃতদেহ লুকিয়ে রাখার অভিযোগ ওই মহিলার বিরুদ্ধে।
নয়াদিল্লি: মধ্য প্রদেশের অনুপ্পুর জেলায় এক চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সামনে এল। স্বামীকে খুনের পর মৃতদেহ রান্নাঘরের স্ল্যাবের নিচে পুঁতে রাখার অভিযোগ এক মহিলার বিরুদ্ধে। প্রায় একমাস এভাবে মৃতদেহ লুকিয়ে রাখার অভিযোগ ওই মহিলার বিরুদ্ধে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় মাসখানেক আগে গত ২২ অক্টোবর কারোন্দি গ্রামে নিজের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান মহেশ বানাওয়াল নামে এক ব্যক্তি। ৩৫ বছরের মহেশ পেশায় অ্যাডভোকেট। এরপর তাঁর স্ত্রী প্রমীলা পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
এই ঘটনা নতুন মোড় নেয় গত ২১ নভেম্বর। মহেশের এক উদ্বিগ্ন দাদা অর্জুন বানওয়াল পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁর এক সন্দেহ নিয়ে। তাঁর সন্দেহের ভিত্তিতেই পুলিশ এই ঘটনার কিণারা করতে সক্ষম হয়।
অর্জুন পুলিশকে জানান, তাঁর ভাই নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তিনি ও তাঁর পরিবারের লোকজন ওই বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রতিবারেই তাঁদের গালাগালিজ করে তাড়িয়ে দেন মহেশের স্ত্রী প্রমীলা। তাঁদেরই মহেশের নিখোঁজ হওয়ার জন্য দায়ী করে প্রমীলা গালিগালাজ করতেন বলে অভিযোগ।
অর্জুনের এই বক্তব্য শোনার পর পুলিশের একটি দলকে গ্রামে পাঠানো হয়। পুলিশের এই দল ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পায়।
এসএইচও অমরকন্টক ভানু প্রতাপ সিংহ জানিয়েছেন, ওই বাড়ি থেকেই দুর্গন্ধ আসছে বুঝতে পারারর সঙ্গে সঙ্গে পুরো জায়গা ঘিরে তল্লাশি চালানো হয়। শেষপর্যন্ত বুঝতে পারা যায় যে, রান্নাঘরের স্ল্যাবের নিচ থেকেই ওই দুর্গন্ধ আসছে। এরপর ওই স্ল্যাব খুঁড়ে একটি পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়। এই জায়গা থেকেই প্রায় একমাস ধরে রান্না করছিল অভিযুক্ত প্রমীলা।
স্ল্যাব খুঁড়ে পুলিশ দেহ করতেই প্রমীলা বুঝতে পারে তার ছক ভেস্তে গিয়েছে। এরপর চিতকার চেঁচামেচি জুড়ে দেয় এবং পুলিশের কাছে বলে যে, তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
প্রমীলা অভিযোগ করে যে, তার বড় ভাশুর গাঙ্গুরাম বানওয়াল তাকে এই অপরাধের কাজে মদত দিয়েছে। প্রমীলা দাবি করে যে, মহেশের সঙ্গে গাঙ্গুরামের স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল। এজন্য তারা দুজনে মহেশকে হত্যার ছক কষে। গাঙ্গুরাম অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পুলিশ প্রমীলাকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রান্নাঘরের স্ল্যাবের নিচে অভিযুক্ত কীভাবে গর্ত খুঁড়ে দেহ পুঁতে রাখল, তা তারা খতিয়ে দেখছে। পুলিশের অনুমান, এই কাজে প্রমীলাকে কেউ একজন সাহায্য করেছে। সেই ব্যক্তি কে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রমীলা ও মহেশের চার কন্যাসন্তান রয়েছে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
জেলার
Advertisement