শ্রীনগর জেলে তল্লাশি-অভিযান এনআইএ-র, বাজেয়াপ্ত পাকিস্তানি পতাকা, জেহাদি কাগজপত্র
শ্রীনগর: শ্রীনগরের জেলে তল্লাশি চালিয়ে ২ ডজনের বেশি মোবাইল ফোন, জেহাদি কাগজপত্র, হার্ডওয়্যার ও পাকিস্তানি পতাকা উদ্ধার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ।
এদিনের এই বিশাল তল্লাশি-অভিযানে অংশ নিয়েছিল এনআইএ-র অন্তত ২০টি দল। তাদের সহায়তার জন্য ছিল এনএসজি কমান্ডো। এর পাশাপাশি, আকাশপথে গোটা জেলের ওপর নজর রাখতে ব্যবহার করা হয় ড্রোন।
প্রসঙ্গত, শ্রীনগরের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছে বেশ কয়েকজন কুখ্যাত জঙ্গি। ফলে, এই জেলের নিরাপত্তা-বলয় অনেকটাই কঠোর। তবু, তার মধ্যেও যে ফাঁক থেকে গিয়েছে এদিনের অভিযানে এনআইএ-র হাতে আসা সামগ্রীই তার প্রমাণ।
সম্প্রতি, কুপওয়াড়া থেকে দানিশ গুলাম লোন এবং সোহেল আহমেদ ভট্ট নামে ২ যুবককে গ্রেফতার করে এনআইএ। তদন্তকারীদের সামনে ধৃতেরা দাবি করে, কয়েকদিন আগে আল-বদর জঙ্গিগোষ্ঠীতে নতুন নিয়োগ হয়েছে। ওই যুবকরা সীমান্তের ওপারে গিয়েছে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিতে। আর গোটা বিষয়টির পরিকল্পনা করা হয়েছে জেলের মধ্যে থেকে।
এদিন ভোরবেলা থেকে এই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। চলে দুপুর পর্যন্ত। খোলা জায়গা থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি ব্যারাক তন্নতন্ন করে তল্লাশি চলে। কাজে লাগানো হয় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন মেটাল ডিটেক্টর। ড্রোনের মাধ্যমে গোটা তল্লাশি প্রক্রিয়ার ওপর নজর রাখা হয়।
এদিনের তল্লাশিতে ২৫টি মোবাইল ফোন, কয়েকটি সিম কার্ড, ৫টি সিকিওর ডিজিটাল কার্ড, ৫টি পেন ড্রাইভ, একটি আইপড, প্রচুর পরিমাণ নথি, হিজবুল মুজাহিদিনের পোস্টার, পাকিস্তানি পতাকা সহ একাধিক জেহাদি কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি কুখ্যাত লস্কর-এ-তৈবা জঙ্গি মহম্মদ নাভেদ ভট্ট শ্রীনগরের ব্যস্ত হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। তদন্তকারীদের অনুমান, সেই ষড়যন্ত্রও এই জেলে বসেই রচিত হয়েছিল।