এক্সপ্লোর
ওড়িশায় অভিনব বিয়ে, সংবিধানের নামে শপথ বর-কনের
প্রজাতন্ত্র দিবসে বিয়ে। আর ভারতের সংবিধান হাতে নিয়ে বিয়ের শপথ নিলেন ওড়িশার বর ও কনে। তাঁরা সংবিধানের প্রস্তাবনা পড়লেন এবং ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই পথ চলার কথা বললেন তাঁরা।
![ওড়িশায় অভিনব বিয়ে, সংবিধানের নামে শপথ বর-কনের Odisha: Bride and groom take vows in the name of indian constitution ওড়িশায় অভিনব বিয়ে, সংবিধানের নামে শপথ বর-কনের](https://static.abplive.com/wp-content/uploads/sites/3/2020/01/28235933/constitution.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
ভুবনেশ্বর: প্রজাতন্ত্র দিবসে বিয়ে। আর ভারতের সংবিধান হাতে নিয়ে বিয়ের শপথ নিলেন ওড়িশার বর ও কনে। তাঁরা সংবিধানের প্রস্তাবনা পড়লেন এবং ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই পথ চলার অঙ্গীকার করলেন।
অরিজিত মহাপাত্র (২৭) ও শিবালিকা প্রধান (২৫) চিরাচরিত প্রথা মেনেই বিয়ে করেছেন। বরযাত্রী এসেছে, ব্যান্ড বেজেছে। মালা বদলও হয়েছে। বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে একটি হোটেলে। এরপর অতিথিরা সবাই বিয়ের ভোজও সারেন।
অরিজিত চিকিত্সকের ছেলে। পেশায় উদ্যোগপতি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, আমি ঈশ্বর বিশ্বাসী নই। আমি কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাস করি। আমার বাবা-মাকেই আমি ভগমান মনে করি। আমার কাছে সংবিধান সেই বন্ধন শক্তি, যা আমাদের একসূত্রে বেঁধে রেখেছে।
অরিজিত এর আগে ব্যাঙ্কে কাজ করতেন।
কনে শিবালিকা রভেনশ বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের গোল্ড মেডেলিস্ট। এমনিতে টিউশন করেন তিনি। সেইসঙ্গে কলেজের শিক্ষক হিসেবে কেরিয়ার শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিয়েটা যেভাবে হল, তাতে খুবই খুশি শিবালিকা।
সংবিধানের নামে কেন বিয়ের শপথ? এই প্রশ্নের উত্তরে অরিজিত বলেছেন, আমি মনে করি, এই সংবিধানের জন্যই এতদিন পর্যন্ত ভারতের ঐক্য ও সংহতি বহাল রয়েছে। সংবিধানে প্রত্যেককে মানুষ হিসেবে দেখা হয় এবং একজন ভারতীয় হিসেবে সংবিধানে মানুষকে জাত-পাত ও ধর্মের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হয় না।
অরিজিত আরও বলেছেন, আমি এমন এক পরিবেশে বড় হয়েছে, যেখানে জাত-পাত ও ধর্মের কোনও তাত্পর্যই ছিল না। আমি যখন আমার হবু স্ত্রীকে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপনের কথা বলি, তখন ও সানন্দে রাজি হয়।
শিবালিকা বলেছেন, আমার বাবা নৌ বাহিনীতে কাজ করেন। আমি সারা দেশ ঘুরেছি। বুঝেছি, সংবিধানই আমাদের ঐক্যের সূত্রে বেঁধে রেখেছে। অরিজিত যখন এই অভিনব বিয়ের প্রস্তাব দেয়, তখন আমার মা-বাবাও রাজি হয়ে যান। তাঁর চাইতেন, তাঁদের জামাই হবেন একজন শিক্ষিত মানুষ, তা সে যে জাত বা ধর্মেরই হোক না কেন।
অরিজিতের মা মঞ্জুলতা বলেছেন, ছেলের সুখেই আমরা সুখী। শুধু আমরা নয়, আত্মীয়রাও সবাই খুশি।
ওড়িশার যুক্তিবাদী সোস্যাইটির সভাপতি দেবেন্দ্র সুতার বলেছেন, আমাদের এ ধরনের বিবাহকে উত্সাহিত করা উচিত। তরুণদের আমাদের সংবিধান ও এর ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ সম্পর্কে জানা দরকার। এছাড়া, এ ধরনের বিয়ের অনুষ্ঠানের খরচও কম, এতে মেয়ের পরিবারের ওপর বোঝা চাপে না।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
ব্যবসা-বাণিজ্যের
অটো
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)