এক্সপ্লোর
Advertisement
তীব্র জ্বালানি সংকট ত্রিপুরায়, পেট্রোলের দাম ছুঁয়েছে প্রতি লিটারে ৩০০ টাকা
আগরতলা: একটানা প্রবল বৃষ্টি ও জাতীয় সড়কের বেহাল রক্ষণাবেক্ষনের জন্য স্থলপথে দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরার যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন। গত দুমাস ধরে এই অবস্থা চলছে। ত্রিপুরার লাইফ লাইন ৮ নম্বর জাতীয় সড়ক। কিন্তু বৃষ্টির কারণে অসম সংলগ্ন এই সড়কে যান চলাচল থমকে গিয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের গাফিলতি ও বৃষ্টির জন্য এই সড়কের কিছু অংশ কার্যত খানাখন্দের চেহারা নিয়েছে। দক্ষিণ অসমের করিমগঞ্জ জেলায় এই সড়কে হাঁটু পর্যন্ত কাদা। স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে ত্রিপুরা বারেবারেই কেন্দ্রকে হস্তক্ষেপের অনুরোধ করছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে রাজ্যের অভিযোগ। এর ফলে ত্রিপুরায় নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও জ্বালানির সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। পেট্রোলের দাম ছুঁয়েছে প্রতি লিটারে ৩০০ টাকা।
জ্বালানি সরবরাহ স্বাভাবিক করার দাবিতে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি পথে নেমেছে। পথ অবরোধ ও বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিরোধী দলগুলি।কোনও কোনও জায়গায় গাড়ির টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছে।
সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় রান্নার গ্যাসেরও তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে। এরফলে নাজেহাল সাধারণ মানুষ।
গত শুক্রবার রাজ্যের সচিবালয়ের কাছে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেস। বিক্ষোভকারীরা সচিবালয়ে ঢুকতে চাইলে পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে।
ওই দিনই ত্রিপুরার পূর্তমন্ত্রী বাদল চৌধুরী, পরিবহণমন্ত্রী মানিক দে ও খাদ্যমন্ত্রী ভানুলাল সাহা যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দেন। চৌধুরীর অভিযোগ, বিরোধী দলগুলি পরিস্থিতির ফায়দা তুলে রাজ্য হিংসা ও অশান্তি তৈরি করতে চাইছে। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি কেন্দ্র ও অসম সরকারকে লেখা রাজ্যের চিঠিগুলির প্রতিলিপি প্রকাশ করেন। তাঁর অভিযোগ, ত্রিপুরার জনগনের প্রতি দায়দায়িত্ব পালন করছে না কেন্দ্র। তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক জরুরী ভিত্তিতে মেরামতের জন্য কেন্দ্র সামরিক ইঞ্জিনিয়ারিং পরিষেবা বা বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন বা অন্য কোনও সংস্থাকে দায়িত্ব দিতে পারে।হাইওয়ের মাত্র ৩০০ মিটার অংশ মেরামতের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই অসম ও কেন্দ্র সরকারকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
সাহা বলেন, সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দিয়ে সামান্য কিছু ট্রাক ও জ্বালানির গাড়ি আসছে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা অত্যন্ত কম। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে জ্বালানি সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ত্রিপুরায় সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্র ও অসম সরকার যদি ৮ নম্বর জাতীয় সড়ক মেরামতির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ত্রিপুরাকে এই পরিমাণ সংকটের মুখে পড়তে হত না।
গুয়াহাটি থেকে ত্রিপুরার দিকে রওনা দেওয়া বহু পণ্য বোঝাই ট্রাক ও জ্বালানি ট্যাঙ্কার অসমের করিমগঞ্জে আটকে পড়েছে। এরওপর অসমের ডিমা হাসাও জেলায় রেল ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুর ও দক্ষিণ অসমের সঙ্গে ভারতের অন্যন্য অংশের সঙ্গে রেলপথে যোগাযোগ গত দুমাস ধরে অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। এরফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় ত্রিপুরায় জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম আকাশ ছুঁয়েছে। পেট্রোল ও ডিজেলের রেশনিংয়ের জন্য ত্রিপুরাতে গাড়ির জোড়-বিজোড় ব্যবস্থা চালু হয়েছে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
জেলার
Advertisement