নোট বাতিল: বেআইনি লগ্নি সংস্থা হাতিয়ারে নাম না করে মমতাকে তোপ মোদীর
আগরা: নোট বাতিল নিয়ে এবার নাম না করে মমতাকে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিন আগরায় নির্বাচনী জনয়ভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী জানান, বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার মদতদাতারাই এখন তাঁর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন।
এদিন পরিবর্তন জনসভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি জানি কারা আমার বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে। দেশের মানুষ কি জানেন না, কাদের টাকা বেআইনি লগ্নি সংস্থায় খাটছে?
তিনি যোগ করেন, দেশের লক্ষ কোটি গরিব মানুষ এধরনের বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থায় বিনয়োগ করেছিলেন। এখন কিছু রাজৈনিতিক নেতাদের ‘আশীর্বাদে’ সেই টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে।
মোদী আরও জানান, বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার ভরাডুবির পর শতাধিক পরিবারের মাথারা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। মোদীর কটাক্ষ, আমার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা না করে ইতিহাসের দিকে তাকান।
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, নোট বাতিল বিতর্কে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও, মোদী এদিন কোনও রাজনৈতিক দল বা নেতার নাম প্রকাশ্যে আনেন নি।
তবে, কালো টাকা নিয়ে কংগ্রেসকে তুলোধনা করেন মোদী। জানিয়ে দেন, ওরা (কংগ্রেস) ৭০ বছর ধরে চুপ ছিল। এটা নয় যে তারা রোগের বিষয়ে জানত না। কিন্তু, ওরা দেশের কম, নিজেদের ক্ষমতার ওপর বেশি নজর দিয়েছিল।
নোট বাতিলকে ঘিরে সাধারণ মানুষের হয়রানি প্রসঙ্গে মোদী জানান, গরিব, মধ্যবিত্ত এবং সর্বোপরি সৎ মানুষকে সমস্যায় ফেলার জন্য তিনি এই সিদ্ধান্ত নেননি। উল্টে, তাঁদের সাহায্য হবে বলেই আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর।
বলেন, নোট বাতিলে কষ্ট হলেও কিছু লোক আজীবন সাজা পেয়েছে। যোগ করেন, ১২ দিনে ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে ৫ লক্ষ কোটি টাকা। এর ফলে সুদের হার কমাবে ব্যাঙ্ক। আখেরে লাভবান হবে মধ্যবিত্ত-ই।
একইসঙ্গে, সাধারণ মানুষকে সতর্কও করেছেন তিনি। বলেছেন, জনধন অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিতে প্রলোভন দেখানো হলেও পা দেবেন না। গরিব-মধ্যবিত্তদের সুরক্ষিত রাখতেই নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত।